ডাইনির গল্প

হাড় কাঁপানো শীতের ঠান্ডা বাতাস বইছে চারিদিকে। এরকম অবস্থায় গভীর জঙ্গলে হারিয়ে গেছে ফিরোজ।


বাড়ি ফেরার পথ খুঁজে পাইনা সে।খুজতে খুজতে রাত নেমে আসলো।আশ্রয় খুজছে এখন। হঠাৎ সামনে সে একটি কুড়েঘর দেখতে পেলো। সেখানে গিয়ে সে দরজায় কড়া নারলো।খ্যানখ্যানে গলায় শোনা গেলো,কে?

সে বললো, আমি ফিরোজ।এই জঙ্গলে আমি হারিয়ে গেছি।আজকের রাতটা কি এখানে কাটাতে পারি?

দরজা খুলে গেলো।দেখা গেলো এক বুড়ি কে। বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে গেছে।সে বললো,ভিতরে এসো। ফিরোজ ঢুকলো।ঢুকার পর বললো, আমার খিদে পেয়েছে।বুড়ি ফিরোজ কে বসতে বলে চলে গেলো।বুড়ি আনলো মুখোরোচক খাবার। ফিরোজ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। হঠাৎ ফিরোজের ঘুম ভেঙ্গে গেল একটা ক্যাচক্যাচ শব্দে।সে দেখতে গিয়ে শুনতে পেলো যে বুড়ি বলছে,আজকে একটা আস্ত মানুষ পাওয়া গেছে।তাকে রোস্ট বানিয়ে খাবো।একথা শুনে ফিরোজের জান উড়ে গেলো।সে বুঝতে পারলো এখনি তাকে পালাতে হবে নইলে জানে বাঁচবে না। তাড়াহুড়ো করে পালাতে গিয়ে পরে গেলো।আর ঝনঝন আওয়াজ হলো।পেছন থেকে‌ কে যেনো বললো,এই এখানে কি করছো?

ফিরোজ পিছনে তাকিয়ে দেখলো,ডাইনিটা দাড়িয়ে আছে।সে কোনো কথা ‌না বলে বাইরে দৌড় দিলো।ডাইনিও তার পেছন পেছন দৌড় দিলো। ফিরোজ পিছনে তাকিয়ে দেখে ডাইনিটা তার দুই পা ও দুই হাতের ভর করে দৌড়িয়ে আসছে। হঠাৎ ফিরোজ এক গর্তে পড়ে গেলো।ডাইনি তখন এসে বলছে,হি হি হি এবার কোথায় যাবে বাছাধন।ডাইনি ফিরোজ কে তুলে নিলো। ফিরোজ বলতে লাগলো,আমাকে মেরো না।আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। তুমি কোনো অপরাধ করোনি কিন্তু মানুষ হচ্ছে আমার খাবার আর তুমি মানুষ,ডাইনিটা বললো।ডাইনি ছুরি বের করে ফিরোজের গলায় ধরলো।আর যেমনি তাকে জবাই করার জন্য এক টান দিয়েছে,তেমনি ফিরোজ লাফিয়ে উঠেছে। ফিরোজ দেখলো বাইরের রোদ জানালা দিয়ে এসে তার মুখে পরছে।অন্যদিক থেকে তার মা বলছে, ফিরোজ এসো নাসতা খেয়ে নাও। ফিরোজ ভাবলো,যাক একটা স্বপ্ন ছিলো।