ব্রিক্স হচ্ছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বারা একটি জাতীয় অর্থনীতির সঙ্ঘ। যা নামকরণকৃত হয়েছে এই পাঁচটি দেশের ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষরগুলো দিয়ে। ২০১০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার অর্ন্তভূক্ত হবার পূর্বে এই সঙ্ঘটি "ব্রিক" নামে পরিচিত ছিল। রাশিয়া বর্তমানে ব্রিক্সের প্রধান হিসেবে কাজ করছে। প্রতিবছর আনুষ্ঠানিক সম্মেলনে ব্রিক্স রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হয়। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে ব্রিকসের অষ্টম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই ইউরোপে শুরু হয়ে ১১ নভেম্বর ১৯১৮ পর্যন্ত হয়েছিল।
১৯১৪ সালের ১৮ জুন, অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্ডিনান্ড বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো শহরে এক সার্বের গুলিতে নিহত হন। অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি যুবরাজকে হত্যা করার জন্য সার্বিয়াকে দায়ী করে এবং ওই বছরের ২৮ জুলাই যুদ্ধ ঘোষণা করে। যে রাষ্ট্রগুলো দু'দেশের বন্ধু ছিল ওরাও এই যুদ্ধে ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল ওই সময়ের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী সকল দেশ। এইভাবে শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে একপক্ষে ছিল অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি, উসমানীয় সাম্রাজ্য, বুলগেরিয়া ও জার্মানি। এদের বলা হতো কেন্দ্রীয় শক্তি। আর অন্যদিকে ছিল সার্বিয়া, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি, রুমানিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এদের বলা হতো মিত্রশক্তি।
তথ্য সূত্র: প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, উইতিপিডিয়া
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কাকে বলে
চীনের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী হুয়াংহো নদী বা পীত নদী। হুয়াংহো নদীর উৎপত্তি হচ্ছে
ছিংহাই প্রদেশে অবস্থিত বায়ান হার পবর্তের উত্তরাংশে। হুয়াংহো নদী ছিংহাই,
সিছুয়ান, কানসু , নিংশিয়া, অন্তর্দেশীয় মঙ্গোলিয়া, শাআনশি, শানশি, হনান আর
শানতুং প্রদেশের ভেতরে প্রবাহিত হয়েছে।
কেন এই নদীকে চীনের দুঃখ বলা হয়?
প্রায়ই প্রাচীন চীনে হুয়াংহো নদী থেকে আসা বন্যায সবকিছু ভাসিয়ে দিত। তাই এই
নদীকে "চীনের দুঃখ" বলা হয়। অতি প্রচন্ডভাবে এই নদীর গতিপথ বদল হয়েছে ইতিহাসে
ছাব্বিশবার। যার জন্য প্রত্যেকবারই চীনের জনগণের জীবনের নেমে এসেছিল
দুঃখদুদর্শা।
স্থানীয় নাম: হলুদ নদী (黄河)
দেশ:
গণপ্রজাতন্ত্রী চায়না
দৈর্ঘ্য: ৫,৪৬৪ কিমি, ৩,৩৯৫ মা
হুয়াংহো নদীর কিছু চিত্র
হুয়াংহো নদীর স্যাটেলাইট ভিউ
তথ্য সূত্র: হুয়াংহো নদী, উইকিপিডিয়া
হুয়াংহো নদী
পৃথিবীতে অনেক নদ-নদী রয়েছে। তার মধ্যে পৃথিবীর বৃহত্তম পাঁচটি নদী হচ্ছে,
১.নীল নদ
২.আমাজন নদী
৩.ইয়ানগেটজ নদী
৪.মিসিসিপি নদী
৫.ইয়েনিসেই নদী
নীল নদ
আফ্রিকা মহাদেশের একটি নদী নীলনদ। পৃথিবীর সর্বোচ্চ দীর্ঘতম নদ। ইথিওপিয়া, সুদান, মিশর, উগান্ডা, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, কেনিয়া, তানজানিয়া, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, দক্ষিণ সুদান, ইরিত্রিয়া এই ১১টি দেশের উপর দিয়ে এই নদ প্রবাহিত। এই নদের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬,৮৫৩ কিলোমিটার, ৪,২৫৮ মাইল।
নীল নদ |
আমাজন নদী
দক্ষিণ আমেরিকায় আমাজন নদী অবস্থিত। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। ব্রাজিল, কলাম্বিয়া, পেরু এই তিনটি দেশের উপর দিয়ে আমাজন নদী প্রবাহিত। এই নদীর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬,৪০০ কিলোমিটার, ৪,০০০ মাইল।
আমাজন নদী |
ইয়ানগেটজ নদী
ইয়ানগেটজ নদী বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম নদী। চিনে এর আদরের নাম চ্যাঙ জিয়াঙ্গ। এই নদীর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬,৩০০ কিলোমিটার।
ইয়ানগেটজ নদী |
মিসিসিপি নদী
মিসিসিপি নদী বিশ্বের চতুর্থ দীর্ঘতম নদী। এই নদীর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬,২৭০ কিমি, ৩,৯০০ মাইল।
মিসিসিপি নদী |
ইয়েনিসেই নদী
রাশিয়ার সাইবেরিয়ার মধ্যভাগের একটি নদী ইয়েনিসেই। এটি পৃথিবীর পঞ্চম দীর্ঘতম নদী। এই নদীর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৫,৫৩৯ কিলোমিটার।
ইয়েনিসেই নদী |
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাঁচটি নদী
দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদী বিধৌত অঞ্চলে আমাজন বা আমাজন অরণ্য অবস্থিত। ব্রাজিল,
পেরু, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গায়ানা, সুরিনাম, ফ্রান্স
(ফরাসি গায়ানা) এই ৯ টি দেশ নিয়ে এই অরণ্য বিস্তৃত হয়েছে। এই বনে বৃক্ষ রয়েছে
প্রায় ৩৯০ বিলিয়ন যা প্রায় ১৬০০০ প্রজাতিতে বিভক্ত। আমাজন অরণ্য থেকে পৃথিবীর
২০% অক্সিজেন আসে যার জন্য এই অরণ্যকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়।
ক্ষেত্র: ৫৫,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার, ২১,২৩,৫৬২ বর্গমাইল
আমাজনের কিছু চিত্র
আমাজনের স্যাটেলাইট ভিউ
তথ্য সূত্র: আমাজন অরণ্য, উইকিপিডিয়া
আমাজন কোথায় অবস্থিত?
দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ ভূটান। উগিয়েন ওয়াংচুক ১৯০৭ সালে ভূটানের রাজা হন। "দ্রুক গিয়ালপো বা ড্রাগন রাজা" তার উপাধি ছিল। ১৯২৬ সালে উগিয়েন ওয়াংচুক মারা যায়। তারপর তার পুত্র জিগমে ওয়াংচুক শাসক হন।
একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে ভূটানকে গণ্য করা হয়েছিল ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করার পর। জিগমে ওয়াংচুকের ছেলে জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ১৯৫২ সালে শাসক আসেন। তার আমলে ভূটান পরিকল্পিত উন্নয়নের পথে এগিয়ে ১৯৭১ সালে জাতিসংঘের সদস্য হয়। জিগমে সিঙিয়ে ওয়াংচুক ১৯৭২ সালে ১৬ বছর বয়সে শাসক হয়। তার আমলে ভূটান গণতন্ত্রায়নের পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে শুরু করে। জিগমে সিঙিয়ে ওয়াংচুক ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজার পদ দেয়। তারপর ভূটানের রাজা হয় তার ছেলে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। কারপর থেকেই একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ও সংসদীয় গণতন্ত্র হিসেবে ভূটান পরিণত হয়।
এক নজরে ভূটানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান
আনুষ্ঠানিক নাম: কিংডম অব ভুটান
রাজধানী: থিম্পু
সরকারি ভাষা: জংখা
আয়তন: ৩৮,৩৯৪ বর্গকিলোমিটার, ১৪,৮২৪ বর্গমাইল
জনসংখ্যা: ২০১৬ আনুমানিক ৭৯৭,৭৬৫ জন
মুদ্রা: ভূটানি ঙুলট্রুম, ভারতীয় রূপি
ভৌগলিক অবস্থান
পূর্বে: অরুণাচল প্রদেশ
পশ্চিমে: ভারতের সিকিম ও তিব্বতের চুম্বি উপত্যকা
উত্তরে: চীনের তিব্বত অঞ্চল
দক্ষিণে: আসাম ও উত্তরবঙ্গ
আন্তর্জাতিক
সদস্য: সার্ক, জাতিসংঘ
কলিং কোড: +৯৭৫
ইন্টারনেট টিএলডি: .bt
তথ্য সুত্র: ভূটান, উইকিপিডিয়া
ভুটানের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
দক্ষিণ এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। সিলন নামেও এই দ্বীপ ১৯৭২ সালের আগে পরিচিত ছিল। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে শ্রীলঙ্কা রাষ্ট্রটি পরিচিত।
সর্বপ্রথম পর্তুগীজরা ১৫০৫ সালে এই দ্বিপটিতে পৌঁছায়। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে এই দ্বীপটি ১৭৯৬ সালে চলে যায়। সম্পূর্ণরূপে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত তখন হয়েছিল যখন ১৮১৫ সালে ক্যান্ডি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। ব্রিটিশদের নির্যাতন-অত্যাচারের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা ১৯৩০ সালের দিকে স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু করে। সিলন নামে দেশটি ১৯৪৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীনতা পায়। ১৯৭২ সালে সিলন থেকে শ্রীলঙ্কা নামকরণ করা হয়।
এক নজরে শ্রীলঙ্কা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান
সাংবিধানিক নাম: গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী শ্রীলঙ্কা
রাজধানী: শ্রী জয়াবর্ধেনেপুরা কোট্টে
সরকারি ভাষা: সিংহলি তামিল
আয়তন: ৬৫,৬১০ বর্গকিলোমিটার, ২৫,৩৩০ বর্গমাইল
জনসংখ্যা: ২০১৬ আনুমানিক ২১২০৩০০০ জন
মুদ্রা: শ্রীলঙ্কা রুপি
ধর্মীয় জনগোষ্ঠী
বৌদ্ধ: ৭০.২%
হিন্দু: ১২.৬%
মুসলিম: ৯.৭%
খ্রিস্টান: ৭.৪%
আন্তর্জাতিক
সদস্য: সার্ক, জাতিসংঘ
কলিং কোড: +৯৪
ইন্টারনেট টিএলডি: .lk.ලංකා.இலங்கை
তথ্য সুত্র: শ্রীলঙ্কা, উইকিপিডিয়া
শ্রীলঙ্কার সংক্ষিপ্ত পরিচয়
নেপাল দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ। বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০ টি পর্বতের মধ্যে ৮ টি পর্বতই নেপাল এবং চীনের সীমান্তে জুড়ে থাকা অঞ্চলে অবস্থিত। মাউন্ট এভারেস্ট বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এখানেই অবস্থিত। এই অঞ্চলটিতে ১০০০ খৃস্টপূর্বাব্দের দিকে স্বতন্ত্র রাজ্য ও কনফেডারেশন বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য গড়ে উঠেছিল। তার মধ্যে সাকিয়া নামের একটি কনফেডারেশন ছিল।
গৌতম বুদ্ধ বা শুধু বুদ্ধ নামে পরিচিত সিদ্ধার্থ গৌতম তার একসময়কার রাজা (৫৬৩-৪৮৩ খৃস্টাপূর্বাব্দ) ছিলেন। এই অঞ্চলটি ২৫০ খৃস্টপূর্বাব্দে উত্তর ভারতের মৌর্য সম্রাজ্যের অধীনে আসে। তারপর ৪র্থ শতাব্দীতে এটি গুপ্ত নামের একটি সম্রাজ্যের অধীনে এসে পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত হয়। লিচ্ছবি নামে পরিচিত এক শাসক দল পঞ্চম শতাব্দী শেষ হলে বেশ কিছুটা সময় শাসন করে। অষ্টম শতাব্দীতে লিচ্ছভি সাম্রাজ্যের পতন ঘটলে নেওয়ারি যুগের শুরু হয়। নেপালের দক্ষিণাংশ দক্ষিণ ভারতের চালুক্য সাম্রাজ্যের অধীনে এসেছিল একাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে। পরর্বতীতে কয়েক দশক ধরে যুদ্ধ করেছিল গোর্খারাজ পৃথ্বীনারায়ণ শাহ। যুদ্ধের পর গোর্খারাজ পৃথ্বীনারায়ণ শাহ কাঠমান্ডু উপত্যকা দখল করে। দখল করার পর গোর্খারাজ পৃথ্বীনারায়ণ শাহ নেপালকে ছোটবড় রাজ্যে বিভক্ত করে একটি রাষ্ট্রীয় সংহতি দান করেন। আজকের নেপালের প্রতিষ্ঠাতা গোর্খারাজ পৃথ্বীনারায়ণ শাহকেই বলা যায়।
এক নজরে নেপালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান
সাংবিধানিক নাম: ফেডারেল ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ নেপাল
রাজধানী: কাঠমান্ডু
সরকারি ভাষা: নেপালি
আয়তন: ১,৪৭,১৮১ বর্গকিলোমিটার, ৫৬,৮২৭ বর্গমাইল
জনসংখ্যা: জুলাই ২০১৮ আনুমানিক ২৮০৯৫৭১৪ জন
২০০২ আদমশুমারি ২৩,১৫১,৪২৩ জন
মুদ্রা: রুপি
ভৌগলিক অবস্থান
পূর্বে: ভারত
পশ্চিমে: ভারত
উত্তরে: চীন
দক্ষিণে: চীন
আন্তর্জাতিক
সদস্য: সার্ক, জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড : ৯৭৭
ইন্টারনেট টিএলডি: .np
তথ্য সুত্র: নেপাল, উইকিপিডিয়া
নেপালের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র হল জাপান। জাপানের নামটি যে কাঞ্জি অনুসারে এসেছে, সেটির অর্থ হচ্ছে "সূর্য উৎস"। তাই প্রায়শই জাপানকে "উদীয়মান সূর্যের দেশ" বলা হয়।
সম্ভবত জাপানি নাম নিহন থেকে জাপান শব্দটি এসেছে। জাপানি ভাষায় এর উচ্চারণ হচ্ছে নিপ্পন। নিপ্পন (জাপান) শাব্দিক অর্থে সূর্যোদয়ের দেশ। কিন্তু জাপান প্রকৃতপক্ষে সূর্যোদয়ের দেশ নয়। সূর্য উদয়ের প্রথম প্রভাত উপভোগ করে এমন ছোট ছোট দ্বীপদেশ প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরের বুকে অনেক রয়েছে। রিপাবলিক অফ কিরিবাতি নামের প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে একটি ছোট্ট দ্বীপদেশ আছে। ওই দ্বীপটি সূর্য উদয়ের প্রথম সাক্ষী। জাপানকে সবচেয়ে পূর্বের দেশ হিসেবে ইউরোপীয় উপনিবেশের সময় থেকে বিবেচনা করা হত। ইউরোপীয়রা জাপানকে নিপ্পন শাব্দিক অর্থ সূর্যের উৎপত্তির বিশ্লেষণ করে সূর্যোদয়ের দেশ হিসেবে প্রচার করে। সম্ভবত জাপানকে সবচেয়ে পূর্বের দেশ হিসেবে বিবেচনা করেই ইউরোপীয়রা সুর্যদয়ের দেশ বলে প্রচার করে ফেলে। তখন থেকেই আজও জাপান সূর্যোদয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত।
জাপানের কিছু তথ্য
রাজধানী: টোকিও
জাতীয় ভাষা: জাপানি
জনসংখ্যা: ২০১৫ আনুমানিক ১২৬,৯১৯,৬৫৯ ও ২০১০ আদমশুমারি ১২৮,০৫৬,০২৬
আয়তন: ৩,৭৭,৯৪৪ বর্গকিলোমিটার, ১,৪৫,৯২৫ বর্গমাইল
মুদ্রা: ইয়েন
সময় অঞ্চল: ইউটিসি+৯
গাড়ী চালনার দিক: বাম
কলিং কোড: +৮১
ইন্টারনেট টিএলডি: .jp
সূর্যদয়ের দেশ জাপান
আরব দেশসমূহের একটি সংস্থা আরব লীগ। আলেক্সাদ্রিয়া প্রোটোকলের উপরে ১৯৪৫ সালের ২২ মার্চ আরব লীগ গঠিত হয়েছিল। এটির উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও পারস্পরিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা।
সদস্য রাষ্ট্রসমূহ
আরব লীগের সদস্য রাষ্ট্র সংখ্যা মোট ২২টি।- কুয়েত
- লেবানন
- ফিলিস্তিন
- কাতার
- জর্দান
- বাহরাইন
- সংযুক্ত আরব আমিরাত
- লিবিয়া
- ওমান
- সৌদি আরব
- সিরিয়া
- তিউনিসিয়া
- ইরাক
- আলজেরিয়া
- মরোক্কো
- সুদান
- জিবুতি
- মিশর
- ইয়েমেন
- মৌরিতানিয়া
- সোমালিয়া
- সিরিয়া (বরখাস্ত)
সদর দপ্তর: কায়রো, মিশর
সরকারি ভাষা: আরবি
আয়তন: ১,৩১,৩২,৩২৭ বর্গকিলোমিটার, ৫০,৭০,৪২০ বর্গমাইল
সদস্য রাষ্ট্রসমূহ: ২২টি রাষ্ট্র
সময় অঞ্চল: ইউটিসি+0 to +4
তথ্য সূত্র: আরব লীগ, উইকিপিডিয়া
আরব লীগ কাকে বলে?
ওআইসি ( পূর্ণ রূপ হচ্ছে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা )হচ্ছে আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা। ইসরাইল জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদুল আকসায় ১৯৬৭ সালের ছয়দিনের যুদ্ধের পর ১৯৬৯ সালের ২১ আগস্ট অগ্নিসংযোগ করে। মুসলমানদের সর্ব প্রথম কিবলাহ ছিল মসজিদুল আকসা।
ওই সময় আমিন আল হুসাইনি জেরুজালেমের প্রধান মুফতি ছিলেন। তিনি ঘটনাটি বিশ্বমুসলিম উম্মাহর গোচরীভূত করেছিলেন। ফলে এটি বিদ্যুৎগতিতে গোটা মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তখন ফয়সাল ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন সৌদী আরবের বাদশাহ। বিশ্বব্যাপীর প্রতিক্রিয়া দেখানোর ফলে তিনি মুসলিম দেশগুলোকে একটি জরুরী সম্মেলনের জন্য প্রস্তাব করেছিলেন। তখন ১৪ টি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ ২৫ আগস্টে মিশরের রাজধানী কায়রোতে জরুরী বৈঠকে বসেন। ১৯৭০ সালের মার্চে সৌদি আরবের জেদ্দায় মুসলিম বিশ্বের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ওআইসির রূপরেখা চূড়ান্ত করতে মিলিত হন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি ইসলামী সম্মেলন সংস্থা নামে আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বের বৃহৎ আন্ত:দেশীয় সংগঠন হিসেবে জাতিসংঘ হচ্ছে প্রথম আর ওআইসি হচ্ছে দ্বিতীয়।
সদস্য: ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্র
ধরন: ধর্মীয়
দাপ্তরিক ভাষাসমূহ: আরবি, ইংরেজি, ফরাসি
জনসংখ্যা: ১.৮১ বিলিয়ন ( ২০১৮ আনুমানিক )
প্রশাসনিক কেন্দ্র: জেদ্দা, সৌদি আরব
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ওআইসির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ৭ টি।
১। সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ইসলামী সংহতি বৃদ্ধি করা।
২। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহে সদস্যরাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সহযোগিতা সংহত করা এবংআন্তর্জাতিক ফোরামসমূহে নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করা।
৩। বর্ণ বৈষম্যের মূলোচ্ছেদ এবং উপনিবেশবাদ বিলোপের চেষ্টা অব্যহত রাখা।
৪। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি প্রয়োজনীয় সমর্থন প্রদান করা।
৫। পবিত্র স্থান সমূহের নিরাপত্তা বিধানের সংগ্রামকে সমন্বিত এবং সুসংহত করা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য সংগ্রামকে সমর্থন করা এবং তাদের অধিকার আদায় এবং স্বদেশ রক্ষা করার কাজে সাহায্য প্রদান।
৬। মুসলমানদের মান মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং জাতীয় অধিকার সংরক্ষণের সকল সংগ্রামে মুসলিম জনগণকে শক্তি যোগানো।
৭। সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে সহযোগীতা এবং সমঝোতা বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা।
তথ্য সূত্র: ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা, উইকিপিডিয়া
ওআইসি কাকে বলে?
অতীতে ইংরেজ সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল এমন স্বাধীন জাতিসমূহ নিয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা কমনওয়েলথ বা কমনওয়েলথ অব নেশন্স। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার ৩টি দেশ বাংলাদেশ,
ভারত ও পাকিস্তান সহ এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা সর্বমোট ৫৪। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য এই সংস্থা গঠিত হয়েছে। রুয়ান্ডা হচ্ছে সর্বশেষ সদস্য। এই সংস্থার নেতৃত্য দেয় ব্রিটেন।
সদর দপ্তর: মার্লবোরো হাউস , লন্ডন, যুক্তরাজ্য
আয়তন: ২,৯৯,৫৮,০৫০ বর্গকিলোমিটার, ১,১৫,৬৬,৮৭০ বর্গমাইল
সদস্যরাষ্ট্র: ৫৪টি দেশ
সরকারী ভাষা: ইংরেজি
ধরন: স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
কমনওয়েলথ-এর উদ্দেশ্য
- আন্তর্জাতিক শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় জাতিসংঘকে সহায়তা করা,
- প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র ও ব্যক্তি স্বাধীনতা সুরক্ষা করা,
- দারিদ্র, অজ্ঞতা ও রোগ-ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই করা,
- সাম্য প্রতিষ্ঠায় অনুসন্ধিৎসু হওয়া,
- বর্ণবৈষম্যের বিরোধিতা করা,
- অবাধ ও মুক্তবাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা,
- লিঙ্গগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা,
- টেকসই পরিবেশ সংরক্ষণ (১৯৮৯ সালের ঘোষণা),
- মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং মানবাধিকারের বিকাশ,
- ক্ষুদ্র ও দুর্বল রাষ্ট্রের প্রয়োজনসমূহের স্বীকৃতি,
- সুশীল সমাজের ভূমিকাকে গুরুত্ব প্রদান,
- পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা বৃদ্ধি।
তথ্য সূত্র: কমনওয়েলথ অব নেশনস, উইকিপিডিয়া
কমনওয়েলথ কাকে বলে?
বৃহত্তর ইউরেশিয়া মহাদেশীয় ভূখণ্ডের পশ্চিমের উপদ্বীপটি নিয়ে ইউরোপ মহাদেশ গঠিত। ইউরোপ মহাদেশের আয়তন হচ্ছে ১,০১,৮০,০০০ কিমি।
দেশের নাম রাজধানীর নাম
জার্মানি বার্লিন
পোলান্ড ওয়ারশ
হাঙ্গেরী বুদাপেস্ট
রুমানিয়া বুখারেস্ট
বুলগেরিয়া সোফিয়া
স্লোভাকিয়া ব্লাটিস্লাভা
ক্রোয়েশিয়া জাগোরেব
স্লোভেনিয়া লুবজানা
চেক-প্রজাতন্ত্র প্রাগ
আলবেনিয়া তিরানা
বসনিয়া হার্জেগোভিনা সারায়েবো
মন্টিনিগ্রো পোডগোরিকো
সার্বিয়া বেলগ্রেড
মেসিডোনিয়া স্কোপজে
কসোভো ক্রিস্টিনা
ফ্রান্স প্যারিস
নরওয়ে অসলো
সুইডেন স্টকহোম
ডেনমার্ক কোপেন হেগেন
ইংল্যান্ড লন্ডন
রাশিয়া মস্কো
অস্ট্রিয়া ভিয়েনা
বেলজিয়াম ব্রাসেলস
এনডোরা এনডোরা লা ভিলা
গ্রিস এথেন্স
ফিনল্যান্ড হেলসিংকি
সাইপ্রাস নিকোশিয়া
আইসল্যান্ড রিকজাভিক
আয়ারল্যান্ড ডাবলিন
নেদারল্যান্ড আমস্টারডাম
মালটা ভালেটা
লুক্সেমবার্গ লুক্সেমবার্গ
মোনাকো মোনাকো
পর্তুগাল লিসবন
সুইজারল্যান্ড বার্ন
ভ্যাটিকাস সিটি ভ্যাটিকান সিটি
ইতালি রোম
বেলারুশ মিনস্ক
ইউক্রেন কিয়েভ
এস্তোনিয়া তাল্লিন
লাটভিয়া রিগা
আর্মেনিয়া ইয়েরেভান
জর্জিয়া তিবলিস
লিথুনিয়া ভিনিয়াস
মলদোভা চিসিনিউ
সানমেরিনো সানমেরিনো
লিচেনস্টেইন ভাদুজ
স্পেন মাদ্রিদ
ইউরোপ মহাদেশের সবগুলো দেশের রাজধানীর নাম
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর কক্সবাজার, পর্যটন কেন্দ্র এবং মৎস্য বন্দর। নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য কক্সবাজার বিখ্যাত। ১২২ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত এখানে অবস্থিত। বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এবং সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন এখানে অবস্থিত। একটা সময়ছিল যখন কক্সবাজার পানোয়া নামে পরিচিত ছিল। আর পালঙ্কি হচ্ছে এর আরো একটি প্রাচীন নাম।
নবম শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে ১৬১৬ সালে কক্সবাজার-সহ চট্টগ্রামের একটি বড় অংশ মুঘল অধিগ্রহণের আগ পর্যন্ত আরাকান রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক অফিসারের নাম থেকে কক্সবাজার নামটি এসেছে। পালংকি ছিল কক্সবাজারের আগের নাম। হিরাম কক্স যখন পালংকির মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। তখন আরাকান শরণার্থী এবং স্থানীয় রাখাইনদের মধ্যে বিদ্যমান হাজার বছরের পুরোনো সংঘাত নিরসনের চেষ্টা করেন এবং তিনি শরণার্থীদের পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেন কিন্তু কাজ সম্পূর্ণ শেষ করার আগেই ১৭৯৯ সালে মারা যান। মারা যাবার পর একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয় তার পুনর্বাসন অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে। নাম দেয়া হয় কক্স সাহেবের বাজার। ১৮৫৪ সালে কক্সবাজার থানা প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৬৯ সালে পৌরসভা গঠিত হয়।
দেশ: বাংলাদেশ
বিভাগ: চট্টগ্রাম বিভাগ
জেলা: কক্সবাজার জেলা
আয়তন: ২৪.৪৫ বর্গকিমি, ৯.৪৪ বর্গমাইল
সময় অঞ্চল: বিএসটি (ইউটিসি+৬)
তথ্য সূত্র: কক্সবাজার, উইকিপিডিয়া
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমূদ্র সৈকত
এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত একটি অঞ্চলকে বলা হয় ককেসাস বা ককেসিয়া। মূলত ককেসাসের অবস্থান হচ্ছে কৃষ্ণ সাগর এবং কাস্পিয়ান সাগরের মাঝে। ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এলব্রুস পর্বত ককেসাস পর্বতমালায় অবস্থিত। এই পর্বতটির উচ্চতা হচ্ছে ৫,৬৪২ মিটার, ১৮,৫১০ ফুট।
উত্তর ও দক্ষিণভাগে ককেসাস অঞ্চলটি বিভক্ত – উত্তর অংশটি উত্তর ককেসাস এবং দক্ষিণ অংশটি ট্রান্সককেসাস নামে পরিচিত। রাশিয়া ফেডারেশনে বৃহত্তর ককেসাস পর্বতমালা অঞ্চলটির উত্তরভাগ অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান প্রভৃতি কতগুলো স্বাধীন দেশের মধ্যে লেসার ককেসাস পর্বতশ্রেণী বিভক্ত। ট্রান্সককেসিয়া উত্তরপশ্চিমে ইরান, পূর্বদিকে কাস্পিয়ান সাগর এবং পশ্চিম দিকে তুরস্কের উত্তরপূর্বাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত।
দেশসমূহ: জর্জিয়া, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, রাশিয়া
বিশেষণ: ককেসিয়ান
তথ্য সুত্র: ককেসাস, উইকিপিডিয়া
ককেসাস কোন অঞ্চলকে বলা হয়?
মাউন্ট ফুজি |
জাপানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হচ্ছে মাউন্ট ফুজি। মাউন্ট ফুজির উচ্চতা হচ্ছে ৩,৭৭৬.২৪ মিটার, ১২,৩৮৯ ফুট। এটি একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। এখানে সর্বশেষ ১৭০৭-০৮ সালে অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটে। মাউন্ট ফুজি পর্যটক ও পর্বতারোহীদের কাছে একটি জনপ্রিয় স্থান। জাপানের তিনটি পবিত্র পর্বত রয়েছে। তার মধ্যে মাউন্ট ফুজি একটি। অন্য দুটি মাউন্ট তাতে ও মাউন্ট হাকু। এই পর্বতকে সংস্কৃতিক এলাকা হিসেবে ২০০৩ সালের ২২শে জুন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করা হয়।
উচ্চতা: ৩,৭৭৬ মিটার, ১২,৩৮৮ ফুট।
অবস্থান: মাউন্ট ফুজি জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ১০০ কিলোমিটার বা ৬০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে হনশু দ্বীপে অবস্থিত। এই পর্বতটিকে পরিষ্কার দিনে টোকিও থেকে দেখা যায়।
মাউন্ট ফুজির কয়েকটি ছবি
মাউন্ট ফুজির স্যাটেলাইট ভিউ
তথ্য সূত্র: মাউন্ট ফুজি, উইকিপিডিয়া
মাউন্ট ফুজি একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি
পৃথিবীর সর্ব দক্ষিণে এন্টার্কটিকা মহাদেশ অবস্থিত। এন্টার্কটিকা মহাদেশ পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ। এর আয়তন হচ্ছে ১,৪২,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার, ৫৫,০০,০০০ বর্গমাইল। এন্টার্কটিকা মহাদেশের নামকরণ করা হয় অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের পর "টেরা অস্ট্রালিস" শব্দটি থেকে। দক্ষিণ মেরু এন্টার্কটিকা মহাদেশে অবস্থিত।
এন্টার্কটিকা মহাদেশে কোন কোন দেশ অবস্থিত?
মূলত এন্টার্কটিকা মহাদেশে কোন দেশ নেই, কারণ এই অঞ্চলের তাপামাত্র সারা বছর হিমাংকের নিচে অবস্থান করে। গ্রীষ্মকালে এন্টার্কটিকা'র সব থেকে উষ্ণ অঞ্চলেও তাপমাত্র থাকে -১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এরও নিচে। আর সারা বছর গড় তাপমাত্রা থাকে -৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যার ফলে এখানে কোন মানুষ বসবাস করতে পারেনা। এখানে বিভিন্ন দেশের গবেষণাগার আছে এবং এইসব গবেষণাগারে নিয়োজিত প্রায় ১ থেকে ২ হাজার মানুষ সারা বছর অবস্থান করে। তবে এন্টার্কটিকা মহাদেশে কোন দেশ না থাকলেও এর বিভিন্ন অঞ্চল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, চিলি ও আর্জেন্টিনা এই ৭টি দেশ নিজেদের বলে দাবী করে।
এন্টার্কটিকা মহদেশ কোন অঞ্চলকে বলা হয়?
পৃথিবীতে মোট ৭টি মহাদেশ আছে। সেই ৭টি মহাদেশ হচ্ছে,
১) এশিয়া মহাদেশ
২) ইউরোপ মহাদেশ
৩) আফ্রিকা মহাদেশ
৪) উত্তর আমেরিকা মহাদেশ
৫) দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ
৬) অস্ট্রেলিয়া/ওশেনিয়া মহাদেশ
৭) এন্টার্কটিকা মহদেশ
এশিয়া মহাদেশ
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ হচ্ছে এশিয়া মহাদেশ। এই মহাদেশের আয়তন হচ্ছে ৪,৪৫,৭৯,০০০ কিমি। এই মহাদেশে ৪৬টি দেশ রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে,
- বাংলাদেশ
- ভারত
- পাকিস্তান
- শ্রীলংকা
- নেপাল
- ভুটান
- মালদ্বীপ
- মায়ানমার
- আফগানিস্তান
- ইন্দোনেশিয়া
- মালেশিয়া
- সিঙ্গাপুর
- থাইল্যান্ড
- ভিয়েতনাম
- লাওস
- কম্বোডিয়া
- ব্রুনাই
- পূর্ব তিমুর
- ফিলিপাইন
- কাজাকিস্তান
- কিরগিজিস্তান
- তাজিকিস্তান
- তুর্কমেনিস্তান
- উজবেকিস্তান
- আজারবাইজান
- চীন
- জাপান
- উত্তর কোরিয়া
- দক্ষিণ কোরিয়া
- তাইওয়ান
- মঙ্গোলিয়া
- বাহরাইন
- ইরান
- ইরাক
- ইসরাইল
- জর্ডান
- কুয়েত
- লেবানন
- ওমান
- কাতার
- সৌদি আরব
- সিরিয়া
- ইয়েমেন
- সংযুক্ত আরব আমিরাত
- তুরস্ক
- ফিলিস্তিন
ইউরোপ মহাদেশ
বৃহত্তর ইউরেশিয়া মহাদেশীয় ভূখণ্ডের পশ্চিমের উপদ্বীপটি নিয়ে ইউরোপ মহাদেশ গঠিত। এই মহাদেশটির আয়তন হচ্ছে ১,০১,৮০,০০০ কিমি। এই মহাদেশে ৪৮টি দেশ রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে,
- জার্মানি
- পোলান্ড
- হাঙ্গেরী
- রুমানিয়া
- বুলগেরিয়া
- স্লোভাকিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
- স্লোভেনিয়া
- চেক-প্রজাতন্ত্র
- আলবেনিয়া
- বসনিয়া হার্জেগোভিনা
- মন্টিনিগ্রো
- সার্বিয়া
- মেসিডোনিয়া
- কসোভো
- ফ্রান্স
- নরওয়ে
- সুইডেন
- ডেনমার্ক
- ইংল্যান্ড
- রাশিয়া
- অস্ট্রিয়া
- বেলজিয়াম
- এনডোরা
- গ্রিস
- ফিনল্যান্ড
- সাইপ্রাস
- আইসল্যান্ড
- আয়ারল্যান্ড
- নেদারল্যান্ড
- মালটা
- লুক্সেমবার্গ
- মোনাকো
- পর্তুগাল
- সুইজারল্যান্ড
- ভ্যাটিকাস সিটি
- ইতালি
- বেলারুশ
- ইউক্রেন
- এস্তোনিয়া
- লাটভিয়া
- আর্মেনিয়া
- জর্জিয়া
- লিথুনিয়া
- মলদোভা
- সানমেরিনো
- লিচেনস্টেইন
- স্পেন
আফ্রিকা মহাদেশ
এই মহাদেশের আয়তন হচ্ছে ৩০,২২১,৫৩২ বর্গ কিলোমিটার, ১১,৬৬৮,৫৯৮ বর্গমাইল। এই মহাদেশে ৫৬টি দেশ রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে,
- মিশর
- সুদান
- লিবিয়া
- তিউনিশিয়া
- আলজেরিয়া
- দক্ষিণ সুদান
- ইরিত্রিয়া
- ইথিওপিয়া
- জিবুতি
- সোমালিয়া
- কেনিয়া
- তানজানিয়া
- মোজাম্বিক
- মালাগাছি
- সোয়াজিল্যান্ড
- জিম্বাবুয়ে
- মালাবি
- কমরোস
- মৌরিশাস
- সিসিলি
- মরক্কো
- মৌরিতানিয়া
- সেনেগাল
- গিনি
- গিনি বিসাউ
- সিয়েরালিওন
- লাইবেরিয়া
- আইভোরিকোস্ট
- মালি
- ঘানা
- বুরকিনা ফাসো
- বেনিন
- টোগো
- জাম্বিয়া
- কেপভার্দে
- নাইজেরিয়া
- নাইজার
- চাদ
- মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র
- ক্যামেরুন
- কঙ্গো
- জায়ারেঙ্ক
- ইকুটোরিয়াল গিনি
- গাম্বিয়া
- উগান্ডা
- রুয়ান্ডা
- বুরুন্ডি
- গ্যাবন
- সাওটোমে এন্ড প্রিন্সিপি
- এঙ্গোলা
- নামিবিয়া
- দক্ষিণ আফ্রিকা
- বোতসোয়ানা
- লেসোথো
- কারাজোস
- পশ্চিম সাহারা
উত্তর আমেরিকা মহাদেশ
এই মহাদেশের আয়তন হচ্ছে ২,৪৭,০৯,০০০ কিমি। এই মহাদেশে ২৭টি দেশ রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে,
- যুক্তরাষ্ট্র
- কানাডা
- বারমুডা
- পোয়েটরিকো
- কেউম্যান দ্বীপপুঞ্জ
- অ্যাঙ্গুইলা
- হাইতি
- সেন্ট লুসিয়া
- সেন্ট ভিনসেন্ট
- সেন্টকিটস
- বেলিজ
- বাহামা দ্বীপপুঞ্জ
- বারবাডোজ
- ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
- ডোমিনিকান রিপাবলিক
- ডোমিনিকা
- জ্যামাইকা
- গ্রানাডা
- কিউবা
- এন্টিগুয়া ও বারমুডা
- হন্ডুরাস
- পানামা
- নিকারাগুয়া
- গুয়েতেমালা
- কোস্টারিকা
- এল সালভাদর
- মেক্সিকো
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ
পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মহাদেশটি হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকা। এই মহাদেশের আয়তন হচ্ছে ১,৭৮,৪০,০০০ বর্গকিলোমিটার। এই মহাদেশে ১৩টি দেশ রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে,
- আর্জেন্টিনা
- ইকুয়েডর
- উরুগুয়ে
- কলম্বিয়া
- গায়ানা
- চিলি
- প্যারাগুয়ে
- বলিভিয়া
- ব্রাজিল
- ভেনিজুয়েলা
- সুরিনাম
- পেরু
- ফ্রেঞ্চগায়ানা
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশকে ওশেনিয়া মহাদেশও বলা হয়। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের আয়তন হচ্ছে ৮৬,০০,০০০ কিমি। এই মহাদেশে ১৫টি দেশ রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে,
- অস্ট্রেলিয়া
- নিউজিল্যান্ড
- ফিজি
- টোঙ্গো
- পাপুয়া নিউগিনি
- পশ্চিম সামোয়া
- নাউরু প্রজাতন্ত্র
- মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
- ট্রুভ্যালু
- মাইক্রোনেশিয়া
- সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
- পালাউ
- ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া
- ভানুয়াতু
- কিরিবাতি
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে কোন দেশ নেই।
পৃথিবীতে কয়টি মহাদেশ আছে?
জাতিসংঘের তথ্য মতে পৃথিবীতে ২৫১টি দেশ আছে, তবে পৃথিবীতে স্বাধীন দেশের সংখ্যা ১৯৫টি।
- বাংলাদেশ
- ভারত
- পাকিস্তান
- শ্রীলংকা
- নেপাল
- ভুটান
- মালদ্বীপ
- মায়ানমার
- আফগানিস্তান
- ইন্দোনেশিয়া
- মালেশিয়া
- সিঙ্গাপুর
- থাইল্যান্ড
- ভিয়েতনাম
- লাওস
- কম্বোডিয়া
- ব্রুনাই
- পূর্ব তিমুর
- ফিলিপাইন
- কাজাকিস্তান
- কিরগিজিস্তান
- তাজিকিস্তান
- তুর্কমেনিস্তান
- উজবেকিস্তান
- আজারবাইজান
- চীন
- জাপান
- উত্তর কোরিয়া
- দক্ষিণ কোরিয়া
- তাইওয়ান
- মঙ্গোলিয়া
- বাহরাইন
- ইরান
- ইরাক
- ইসরাইল
- জর্ডান
- কুয়েত
- লেবানন
- ওমান
- কাতার
- সৌদি আরব
- সিরিয়া
- ইয়েমেন
- সংযুক্ত আরব আমিরাত
- তুরস্ক
- ফিলিস্তিন
- জার্মানি
- পোলান্ড
- হাঙ্গেরী
- রুমানিয়া
- বুলগেরিয়া
- স্লোভাকিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
- স্লোভেনিয়া
- চেক-প্রজাতন্ত্র
- আলবেনিয়া
- বসনিয়া হার্জেগোভিনা
- মন্টিনিগ্রো
- সার্বিয়া
- মেসিডোনিয়া
- কসোভো
- ফ্রান্স
- নরওয়ে
- সুইডেন
- ডেনমার্ক
- ইংল্যান্ড
- রাশিয়া
- অস্ট্রিয়া
- বেলজিয়াম
- এনডোরা
- গ্রিস
- ফিনল্যান্ড
- সাইপ্রাস
- আইসল্যান্ড
- আয়ারল্যান্ড
- নেদারল্যান্ড
- মালটা
- লুক্সেমবার্গ
- নাকো
- পর্তুগাল
- সুইজারল্যান্ড
- ভ্যাটিকাস সিটি
- ইতালি
- বেলারুশ
- ইউক্রেন
- এস্তোনিয়া
- লাটভিয়া
- আর্মেনিয়া
- জর্জিয়া
- লিথুনিয়া
- মলদোভা
- সানমেরিনো
- লিচেনস্টেইন
- স্পেন
- মিশর
- সুদান
- লিবিয়া
- তিউনিশিয়া
- আলজেরিয়া
- দক্ষিণ সুদান
- ইরিত্রিয়া
- ইথিওপিয়া
- জিবুতি
- সোমালিয়া
- কেনিয়া
- তানজানিয়া
- মোজাম্বিক
- মালাগাছি
- সোয়াজিল্যান্ড
- জিম্বাবুয়ে
- মালাবি
- কমরোস
- মৌরিশাস
- সিসিলি
- মরক্কো
- মৌরিতানিয়া
- সেনেগাল
- গিনি
- গিনি বিসাউ বিসাও
- সিয়েরালিওন
- লাইবেরিয়া
- আইভোরিকোস্ট
- মালি
- ঘানা
- রকিনা ফাসো
- বেনিন
- টোগো
- জাম্বিয়া
- কেপভার্দে
- নাইজেরিয়া
- নাইজার
- চাদ
- মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র
- ক্যামেরুন
- কঙ্গো
- জায়ারে
- ইকুটোরিয়াল গিনি
- গাম্বিয়া
- উগান্ডা
- রুয়ান্ডা
- বুরুন্ডি
- গ্যাবন
- সাওটোমে এন্ড প্রিন্সিপি
- এঙ্গোলা
- নামিবিয়া
- দক্ষিণ আফ্রিকা
- বোতসোয়ানা
- লেসোথো
- কারাজোস
- পশ্চিম সাহারা
- যুক্তরাষ্ট্র
- কানাডা
- মেক্সিকো
- এল সালভাদর
- কোস্টারিকা
- গুয়েতেমালা
- নিকারাগুয়া
- পানামা
- হন্ডুরাস
- এন্টিগুয়া ও বারমুডা
- কিউবা
- গ্রানাডা
- জ্যামাইকা
- ডোমিনিকা
- ডোমিনিকান রিপাবলিক
- ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
- বারবাডোজ
- বাহামা দ্বীপপুঞ্জ
- বেলিজ
- সেন্টকিটস
- সেন্ট ভিনসেন্ট
- সেন্ট লুসিয়া
- হাইতি
- অ্যাঙ্গুইলা
- কেউম্যান দ্বীপপুঞ্জ
- পোয়েটরিকো
- বারমুডা
- আর্জেন্টিনা
- ইকুয়েডর
- উরুগুয়ে
- কলম্বিয়া
- গায়ানা
- চিলি
- প্যারাগুয়ে
- বলিভিয়া
- ব্রাজিল
- ভেনিজুয়েলা
- সুরিনাম
- পেরু
- ফ্রেঞ্চগায়ানা
- অস্ট্রেলিয়া
- নিউজিল্যান্ড
- ফিজি
- টোঙ্গো
- পাপুয়া নিউগিনি
- পশ্চিম সামোয়া
- নাউরু প্রজাতন্ত্র
- মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
- ট্রুভ্যালু
- মাইক্রোনেশিয়া
- সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
- পালাউ
- ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া
- ভানুয়াতু
- কিরিবাতি
তথ্য সূত্র: উইকিপিডিয়া
পৃথিবীতে মোট কয়টি দেশ আছে?
নায়াগ্রা জলপ্রপাত |