Results for "মহাকাশ বিজ্ঞান"
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি

আমরা যে গ্যালাক্সিতে থাকি তার নাম মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ। এই ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে আমাদের সূর্য ও সৌরজগতের অবস্থান প্রায় ২৭০০০ আলোকবর্ষ দূরে।



রাতের বেলা এই ছায়াপথটি খুব হালকাভাবে আকাশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত সাদা মেঘের মতো হয়। তাই শহর থেকে বা খুব আলোকিত স্থান থেকে এই আকাশগঙ্গা দেখা যায় না।

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ব্যাস আনুমানিকভাবে ১০০,০০০ আলোকবর্ষ এবং পুরুত্ব ১০০০ আলোকবর্ষ। ধরা হয় কমপক্ষে ২০০ বিলিয়ন থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ বিলিয়ন নক্ষত্র রয়েছে এই ছায়াপথে। ভরের সাপক্ষে এটি স্থানীয় ছায়াপথ সমষ্টির দ্বিতীয়। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ভর আমাদের নিকটবর্তী সবচেয়ে বড় ছায়াপথ অ্যান্ড্রোমিডা এর কাছাকাছি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২০১৯ সালে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সর্বমোট ভর হিসাব করেছেন প্রায় ১.৫ ট্রিলিয়ন সৌর ভর, যা ১,২৯,০০০ আলোকবর্ষের ব্যাসার্ধের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই ছায়াপথের সকল তারার সর্বমোট ভর আনুমানিক  ৪.৬×১০১০ সৌরভর।

তথ্যসূত্র: আকাশগঙ্গা ছায়াপথ, উইকিপিডিয়া

রোদ Friday, June 3, 2022
জুরং কি

জুরং হচ্ছে চীনের পাঠানো একটি রোবট যান। গতবছরের ২৩ জুলাই চীনের এই মঙ্গল অভিযানের সূচনা হয়েছিল। ইউটোপিয়া প্লানিশা মঙ্গল গ্রহের উত্তর গোলার্ধের যে বিস্তৃত ভূখণ্ডকে বলা হয়, সেখানে সেই ছয় চাকার সৌরবিদ্যুতচালিত রোবট যান ‘জুরং’ শনিবার ভোরে অবতরণ করে। চীনের অগ্নিদেবতার নামে ২৪০ কেজি ওজনের এই রোবটযানের নাম দেওয়া হয়েছে। এতে ছয় ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণার সরঞ্জাম রয়েছে। এই অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহে কখনো প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল কি না, তা খুঁজে বের করা।

রোদ Saturday, May 22, 2021
ইউরেনাসের পরিচয়
সৌরজগতের একটি গ্রহ ইউরেনাস। এটি আকারের দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম এবং সূর্যের দিক থেকে এর অবস্থান সপ্তম। অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানীই গ্রহটিকে আগে লক্ষ্য করেছিলেন, কিন্তু সৌর জগতের গ্রহ হিসাবে বিবেচনায় আনতে পারেন নি কিন্তু উইলিয়াম হার্শেল-এর নাম এই গ্রহের আবিষ্কারের সাথে বিশেষভাবে জড়িত রয়েছে কারণ তিনি ১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ মার্চে গ্রহটিকে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করে ঐ বছরের ২৬ এপ্রিলে এটিকে একটি ধূমকেতু হিসাবে উল্লেখ করেন। কিন্তু পরে আরো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে তিনি এটিকে সৌরজগতের গ্রহ হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করেন। প্রথমে অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী এটা মানতে চান নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে একে গ্রহ হিসাবে স্বীকার করে নেওয়া হয়।


উপগ্রহ

ইউরেনাসের ২৭ টি উপগ্রহ রয়েছে। যথা: 

  • কোর্ডেলিয়া (Cordelia)
  • ওফেলিয়া (Ophelia)
  • বিয়ানকা (Bianca)
  • ক্রেসিডা (Cressida)
  • ডেসডেমোনা (Desdemona)
  • জুলিয়েট (Juliet)
  • পোর্শিয়া (Portia)
  • রোজালিন্ড ‌(Rosalind)
  • কুপিড (Cupid)
  • বেলিন্ডা (Belinda)
  • পার্ডিটা (Perdita)
  • পাক (Puck)
  • ম্যাব (Mab)
  • মিরান্ডা (Miranda)
  • এরিয়েল (Ariel)
  • আম্ব্রিয়েল (Umbriel)
  • টাইট্যানিয়া (Titania)
  • ওবেরোন ‌(Oberon)
  • ফ্রান্সিস্কো (Fransisco)
  • ক্যালিব্যান (Caliban)
  • স্টেফানো (Stephano)
  • টাইনকুলো (Tienculo)
  • সাইকোরাক্স (Sycorax)
  • মার্গারেট (Margaret)
  • প্রোস্পেরো (Prospero)
  • সেটেবোস (Setebos)
  • ফার্ডিন্যান্ড (Ferdinand)
তথ্য সূত্র: ইউরেনাস, উইকিপিডিয়া


রোদ Monday, April 12, 2021
নেপচুনের পরিচয়

সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ এবং সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী গ্রহ নেপচুন যা রোমান সমুদ্র দেবতা নেপচুনের নামে নামাঙ্কিত হয়েছে। পরিধিতে চতুর্থ এবং ভরে তৃতীয় সর্ববৃহৎ গ্রহ নেপচুন। এর পরিবেশ অনেকটা ইউরেনাস গ্রহের মতো। নেপচুনের ১৪টি উপগ্রহ রয়েছে:

  1. ন্যায়আড (Naiad)
  2. থ্যালাসা (Thalassa‍)
  3. ডেস্পিনা (Despina)
  4. গ্যালাটিয়া (Galatea)
  5. ল্যারিসা (‍Larissa)
  6. প্রোটিয়াস (Proteus)
  7. ট্রাইটন (Triton)
  8. নেরিড (Nereid)
  9. হেলিমিড (Helimede)
  10. স্যাও (Sao)
  11. ল্যাওমেডিয়া (Laomedia)
  12. নেসো (Nesso)
  13. স্যামাথ (Psamathe)
  14. এস/২০০৪ এন১ (S/2004 N1)
তথ্য সূত্র: নেপচুন, উইকিপিডিয়া

রোদ Tuesday, March 30, 2021
বৃহস্পতি গ্রহের পরিচয়

সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে পঞ্চম এবং আকার আয়তনের দিক দিয়ে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি। সৌর জগতে বৃহস্পতি গ্রহ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট গ্রহগুলোর ভরকে একত্র করলে বৃহস্পতির ভর তা থেকে আড়াই গুণ বেশি হবে। বৃহস্পতিসহ শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুনকে একসাথে গ্যাস দানব বলা হয়। এই চারটি গ্রহের আরেকটি জনপ্রিয় নাম হচ্ছে জোভিয়ান গ্রহ। পৃথিবী থেকে দেখলে বৃহস্পতির আপাত মান হবে ২.৮। এটি পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের মধ্যে তৃতীয়। শুধুমাত্র চাঁদ এবং শুক্র গ্রহের উজ্জ্বলতা এর থেকে বেশি।


হাইড্রোজেন এবং সামান্য পরিমাণ হিলিয়াম হচ্ছে বৃহস্পতি গ্রহের প্রাথমিক উপাদান। একটি কেন্দ্র অপেক্ষাকৃত ভারী মৌলসমূহ দ্বারা গঠিত থাকতে পারে। এর আকৃতি খুব দ্রুত ঘূর্ণনের কারণে কমলাকৃতির গোলকের মতো হয়েছে। একটি দুর্বল গ্রহীয় বলয় এবং শক্তিশালী ম্যাগনেটোস্ফিয়ার গ্রহটিকে ঘিরে রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য মতে, বৃহস্পতির উপগ্রহ রয়েছে ৭৯টি, যার মধ্যে ৪টি উপগ্রহ বৃহৎ আকৃতির। এই চারটি উপগ্রহকে গ্যালিলীয় উপগ্রহ বলা হয়। কারণ গ্যালিলিও ১৬১০ সালে প্রথম এই চারটি উপগ্রহ আবিষ্কার করেছিলেন।

উপগ্রহ

৭৯ টি বৃহষ্পতির নামকরণকৃত উপগ্রহ রয়েছে।

  1. মেটিস (Metis)
  2. অ্যাড্রাস্টিয়া (Adrastea)
  3. অ্যামালথিয়া (Amalthea)
  4. থীবী (Thebe)
  5. আইয়ো (Io)
  6. ইউরোপা (Europa)
  7. গ্যানিমেড (Ganymede)
  8. ক্যালিস্টো (Callisto)
  9. থেমিস্টো (Themisto)
  10. লেডা (Leda)
  11. হিমালিয়া (Himalia)
  12. লিসিথিয়া (Lysithea)
  13. এলারা (Elara)
  14. ডিয়া
  15. কার্পো (Carpo)
  16. এস/২০০৩ জে ১২ (S/2003 J 12)
  17. ইউপোরি (Euporie)
  18. এস/২০০৩ জে ৩ (S/2003 J 3)
  19. এস/২০০৩ জে ১৮ (S/2003 J 18)
  20. থেলজিনো (Thelxinoe)
  21. ইউয়ান্থ (Euanthe)
  22. হেলিক (Helike)
  23. ওর্থোসাই (Orhtosie)
  24. লোকাস্ট (Locaste)
  25. এস/২০০৩ জে ১৬ (S/2003 J 16)
  26. প্র্যাক্সিডিক (Praxidike)
  27. হার্পালিক (Harpalyke)
  28. নেম (Mneme)
  29. হারমিপ (Hermippe)
  30. থাইয়োন (Thyone)
  31. আনাক (Anake)
  32. হার্স (Herse)
  33. অ্যাল্টন (Altne)
  34. কেল (Kale)
  35. টাইগেট (Taygete)
  36. এস/২০০৩ জে ১৯ (S/2003 J 19)
  37. কালডেনে (Chaldene)
  38. এস/২০০৩ জে ১৫ (S/2003 J 15)
  39. এস/২০০৩ জে ১০ (S/2003 J 10)
  40. এস/২০০৩ জে ২৩ (S/2003 J 23)
  41. এরিনোম (Erinome)
  42. এওয়েড (Aoede)
  43. ক্যালিকোর (Kallichore)
  44. ক্যালাইক (Kalyke)
  45. কার্ম (Carme)
  46. ক্যালিরহো (Callirrhoe)
  47. ইউরিডোম (Eurydome)
  48. প্যাসিথি (Pasithee)
  49. কোর (Kore)
  50. সাইলিন (Cyllene)
  51. ইউকেল্যাড (Eukelade)
  52. এস/২০০৩ জে ৪ (S/2003 J4)
  53. প্যাসিফা (Pasiphae)
  54. হেজেমোন (Hegemone)
  55. আর্ক (Arche)
  56. আইসোনো (Isonoe)
  57. এস/২০০৩ জে ৯ (S/2003 J 9)
  58. এস/২০০৩ জে ৫ (S/2003 J 5)
  59. সিনোপ (Sinope)
  60. স্পোন্ড (Sponde)
  61. অতনয় (Autonoe)
  62. মেগাক্লাইট (Megaclite)
  63. এস/২০০৩ জে ২ (S/2003 J 2)
  64. এস/২০১০ জে ১ (S/2010 J 1)
  65. এস/২০১০ জে ২ (S/2010 J 2)
  66. এস/২০১১ জে ১ (S/2011 J 1)
  67. এস/২০১১ জে ২ (S/2011 J 2)

68. S/2016 J1 69. S/2017 J1 70 S/2016 J2 71. S/2017 J2 72. S/2017 J3 73. S/2017 J4 74. S/2017 J5 75. S/2017 J6 76. S/2017 J7 77. S/2017 J8 78. S/2017 J9 79. S/2018 J1

তথ্য সূত্র: বৃহস্পতি গ্রহ, উইকিপিডিয়া

রোদ Sunday, March 28, 2021
মিশন পারসেভেরএন্স মারস

মঙ্গল গ্রহে নাসার আরেকটি মিশনের নাম 'মিশন পারসেভেরেন্স মারস'। মঙ্গল গ্রহে অতীতে পানি ও কোন ধরনের প্রাণের অস্তিত্ব ছিলো কিনা তা আরো অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত পারসেভেরেন্স রোবট পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবে। রোবটটি মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি, পাথর ও বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে রাখবে যেন ভবিষ্যতে অন্য কোন মিশনের মাধ্যেমে তা পৃথিবীতে নিয়ে এসে আরো ভালভাবে পরীক্ষা করা যায়।




মিশন সম্বন্ধে

মিশনের ধরণ : ল্যান্ডার / রোভার
মিশনটি বর্তমান অবস্থা : চলমান
আরম্ভের তারিখ : ৩০ জুলাই, ২০২০
রকেট উৎক্ষেপণের স্থান: কেনেডি স্পেস সেন্টার, ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র
মঙ্গল গ্রহে অবতরণের তারিখ : ফেব্রুয়ারী ২০২১।

রোবটটিতে যেসব বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি আছে

- মাস্ট ক্যাম জেড
- সুপার ক্যাম
- এক্স রে মেশিন
- মারস অক্সিজেন আইএসআরইউ এক্সপেরিমেন্ট ইত্যাদি।

রোদ Wednesday, November 25, 2020
আলোক বর্ষ কাকে বলে

আলো ১ সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ মাইল (৩,০০,০০০ কি:মি) গতিতে ১ মিনিটে, ১ দিনে, ১ মাসে ও ১ বছরে যতদুর পর্যন্ত যায় তত দুরত্বকে ১ আলোক বর্ষ বলা হয়। এভাবে ছুটে চলে আলো ১ হাজার বছরে যতদুরে পৌঁছায় তত দুর'কে ১০০০ (এক হাজার) আলোক বর্ষ এবং, ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) বছরে যতদুরে পৌঁছায় তত দুর'কে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) আলোক বর্ষ বলা হয়।

মহাশূণ্যে আলোর বিচ্ছুরণ
মহাশূণ্যে আলোর বিচ্ছুরণ

এক আলোক বর্ষ : ৯.৫ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার (৫.৯ ট্রিলিয়ন মাইল)
প্রতীক : ly (Light Years)
একক পদ্ধতি : জ্যোতির্বিদ্যা-একক



তথ্য সূত্র : আলোক বর্ষ, উইকিপিডিয়া

রোদ Monday, September 7, 2020
মিশন ইনসাইট: মঙ্গল গ্রহে ভূমিকম্প তৎপরতা পর্যবেক্ষণ মিশন
মঙ্গল গ্রহ কতটা বসবাসযোগ্য হতে পারে তা নির্ণয়ের জন্য নাসার আরেকটি মিশনের নাম 'মিশন ইনসাইট'। ২০১৮ সালের ৫মে একটি রোভার রোবট নিয়ে পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরুর পর একই বছর ২৬ নভেম্বার প্রায় ৬ মাস দীর্ঘ ভ্রমণের পর সফলভাবে মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করে নাসার মার্স ল্যান্ডার, এবং আজ অবধি (আগস্ট ২০২০) এখনো রোবটটি মঙ্গল গ্রহের সিসমিক (ভূমিকম্প) তৎপরতা ও প্রায় ৪ বিলিয়ন আগে গঠিত হওয়া গ্রহটির ইনার কোর (আভ্যন্তরীণ গঠন) নিয়ে মাটি খননসহ বিভিন্নভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যাচ্ছে।

Mission Insight Robot
নাসা'র মিশন ইনসাইট রোবট
Image credit nasa.gov


মিশন সম্বন্ধে

মিশনের ধরণ : ল্যান্ডার / রোভার
মিশনটি বর্তমান অবস্থা : চলমান
আরম্ভের তারিখ : ৫ মে, ২০১৮
মঙ্গল গ্রহে অবতরণের তারিখ : ২৬ নভেম্বর, ২০১৮

রোবটটিতে যেসব বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি আছে

- সিসোমিটার
- তাপ প্রবাহ তদন্ত

মিশন ইনসাইট থেকে প্রাপ্ত মঙ্গল গ্রহের ছবি

Mars Panoramic Image Taken by Insight Rover
মিশন ইনসাইটের রোভার থেকে প্রাপ্ত মঙ্গল গ্রহের প্যানোরামিক ছবি, আগস্ট ২০২০
Photo credit: nasa.gov

Mars Surafce Image Taken by Insight Rover
মিশন ইনসাইটের রোভার থেকে প্রাপ্ত মঙ্গল গ্রহের মাটির ছবি, আগস্ট ২০২০
Photo credit: nasa.gov


মিশন ইনসাইট থেকে প্রাপ্ত আরো নতুন ছবিগুলো দেখার জন্য এই লিংকে দেখুন।


রোদ Wednesday, August 19, 2020
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা
পৃথিবীর মানুষের কাছে গ্রহ-গহান্তরের আর অন্ধকারাচ্ছান্ন রহস্যময় গভীর মহাকাশ সম্বন্ধে জানা-অজানা সব তথ্য পৌছাঁনোর ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি যে সংস্থাটি ভূমিকা রাখছে সেটি হলো 'নাসা'। ১৯৬৯ সালে নাসা'র নভোযান এ্যাপোলো-১১ সফলভাবে চাঁদে অবতরণের পর থেকে আজ একবিংশ শতাব্দীর দুই দশক পর্যন্ত নাসা একের পর এক মহাকাশ মিশন পরিচালনা করে আসছে।

Nasa Logo
NASA Logo

নাসা'র পরিচয়

নাসা শব্দটি আসলে কয়েকটি শব্দের আদক্ষর, যার পূর্ণাঙ্গ অর্থ হচ্ছে ইংরেজীতে National Aeronautics and Space Administration (ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) সংক্ষেপে NASA (নাসা)। এটি  উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা। ১৯৫৭ সালে রাশিয়ার একটি কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সফলতার পর যুক্তরাষ্ট্র অনুরুপ তৎপরতা শুরু করে। এর ফলশ্রুতিতে ১৯৫৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি ফর অ্যারোনটিক্স' সংক্ষেপে 'নাকা' প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নাম 'নাসা' করা হয়, যা ১৯৫৮ সালের জানুয়ারী মাসে গৃহীত  পরিকল্পনা "এ ন্যাশনাল রিসার্চ পোগ্রাম ফর স্পেস টেকনলজি"র সফল বাস্তবায়ন।

নাসা'র উল্লেখযোগ্য মিশন

নাসা এ পর্যন্ত মহাকাশে অনেক সফল মিশন পরিচালনা করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি;
  • এ্যাপোলো-১১ চাঁদে অবতরণ ১৯৬৯।
  • ১৯৭৭ সালে ভয়েজার ১ ও ২ মহাকাশযান প্রেরণ যা সৌরজগতের বাইরে চলে যাওয়ার পরও এখনো নাসা'র সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়নি।
  • শনি গ্রহের তথ্য সংগ্রহের 'মিশন ক্যাসিনি-হাইজেন' ১৯৯৭ থেকে ২০১৭। 
  • বৃহস্পতি গ্রহের তথ্য সংগ্রহের মিশন জুনো ২০১৬ (বর্তমানে এখনো জুনো মিশন চালু অবস্থায় আছে)
  • মঙ্গল গ্রহের সিসমিক (ভুমিকম্প) এক্টিভিটি পর্যবেক্ষেণের জন্যে মিশন ইনসাইট (বর্তমানে চালু অবস্থায় আছে)
  • রোভার প্রিজার্ভেশন মার্স ২০২০ (বর্তমান মিশন)
এছাড়াও নাসা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ও হাবল টেলিস্কোপের মতো যুগান্তকারী একক্টিভ (এখনো সচল) মিশনসহ অনেক মিশন পরিচালনা করে আসছে ও করছে।


তথ্য সুত্র:



রোদ Tuesday, August 18, 2020