সুদের দুটি সুন্দর নাম সঞ্চয়পত্র ও ফিক্সড ডিপোজিট!

সঞ্চয়পত্র ও ফিক্সড ডিপোজিট হারাম


বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর পরিচালিত সঞ্চয়পত্রে যে মুনাফা দেয়া হয় তা প্রকাশ্য সুদ'সঞ্চয়পত্র' নামটি শুনতে নির্দোষ মনে হলেও এটি সুদের একটি আধুনিক নাম। যারা জেনে, না জেনে এর সাথে জড়িয়ে গেছেন তারা আল্লাহ তায়ালা'র ক্রোধ থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে এ থেকে বিরত হোন। বাংলাদেশের প্রায় সব আলেমগণ একমত এটি একটি সুদি কারবার। 


সুদের বিষয়ে কুরআনের নির্দেশ

আল্লাহ তায়ালা বলেন, "যারা সুদ খায় তারা দাঁড়াতে পারবে না, (দাঁড়ালেও) তার দাঁড়ানো হবে সে ব্যক্তির মতো যাকে শয়তান স্পর্শ করে মোহাচ্ছন্ন করে দিয়েছে, এটা এ জন্যে যে এরা বলে ব্যবসা বাণিজ্য তো সুদেরই মতো, অথচ আল্লাহ তায়ালা ব্যবসাকে হালাল করেছেন ও সুদকে হারাম। তাই তোমাদের মালিকের পক্ষ থেকে যাদের কাছে এ উপদেশ পৌঁছেছে, সে সুদের কারবার থেকে বিরত থাকবে, আর যা আগে হয়ে গেছে তা তো হয়েই গেছে, সেটা এখন আল্লাহ তায়ালার সিদ্ধান্তের বিষয়, কিন্তু যে আবার তা করবে, তারা অবশ্যই জাহান্নামের অধিবাসী হবে, সেখানে তারা চিরদিন থাকবে" (সূরা বাকারা ২৭৫) । 

তিনি আরো বলেছেন, "যদি তোমরা (সুদ) না ছেড়ে দাও, তাহলে আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুলের পক্ষ থেকে (তোমাদের বিরুদ্ধে) যুদ্ধ ঘোষণা" (সূরা বাকারা ২৭৯)


সুদের বিষয়ে হাদীস

রসুলুল্লাহ (সা:) অভিসম্পাত করেছেন, সুদখোর, সুদদাতা, সুদের সাক্ষীদ্বয় এবং সুদের হিসাব রক্ষক বা দলীল লেখককে (সুনান ইবনে মাজা ২২৭৭)। রসুলুল্লাহ (সা:) আরো বলেছেন, "যে ব্যক্তি সুদের দ্বারা সম্পদ বাড়িয়েছে, পরিণামে তার সম্পদ হ্রাস প্রাপ্ত হবেই" (সুনান ইবনে মাজা ২২৭৯)


সঞ্চয়পত্রের হারাম হওয়া বিষয়ে কয়েকজন আলেমের অভিমত

সবগুলো (৬টি) ভিডিও দেখতে উপরে ডান কোনায় লিস্ট আইকনে ক্লিক করুন


সঞ্চয়পত্র ও ফিক্সড ডিপোজিটের নামে সুদ থেকে পরিত্রাণের উপায়

বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুব সহজেই এসব সুদী কারবার থেকে বেরিয়ে আসা যেতে পারে, কারণ বর্তমানে এগুলোর বিকল্প রয়েছে। শুধু প্রয়োজন আল্লাহ ভীতি ও সদিচ্ছা। সঞ্চয়পত্র ও ফিক্সড ডিপোজিটের বিষয়ে আলেমগণ যেমন একমত যে এগুলো সুস্পষ্ট সুদ, তেমনি অধিকাংশ আলেমগণ এ বিষয়েও একমত যে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত মুদারাবা পদ্ধতির ভিত্তিতে মাসিক বা বাৎসরিক লভ্যাংশ গ্রহণ হালাল, কারণ এক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকগণের সাথে হাদীসে বর্ণিত মুদারাবা পদ্ধতির শর্ত মেনে চুক্তিপত্র তৈরি করে। বর্তমানে এ ধরণের সেবা যেকোন ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত ব্যাংক যেমন ইসলামী ব্যাংক (হটলাইন 16259), এক্সিম ব্যাংক (হটলাইন 16246), আল আরাফাহ ব্যাংক (হটলাইন 16434), ইউনিয়ন ব্যাংক (হটলাইন +88-02-9859313)শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক (হটলাইন 01755556100) ইত্যাদি থেকে গ্রহণ করা যেতে পারে। এসব ব্যাংকগুলোতে প্রাপ্তবয়স্ক যে কেউ মুদারাবা পদ্ধতিতে ইসলামিক ফিক্সড ডিপোজিট করে মাসিক লভ্যাংশ গ্রহণ করতে পারেন। প্রয়োজনে ব্যাংকগুলোর হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিন এবং যেকোন সুদী ব্যাংকের সাথে এমনকি সাধারণ সেভিংস একাউন্টসহ যেকোন ধরণের লেনদেন থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকুন।


ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত ব্যাংকের লভ্যাংশ সম্বন্ধে কয়েকজন আলেমের অভিমত

নিচের ভিডিওগুলোতে আলেমগণ বাংলাদেশের শরীয়াহ ব্যাংকগুলো সম্বন্ধে কি বলছেন ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন।

সবগুলো (১০টি) ভিডিও দেখতে উপরে ডান কোনায় লিস্ট আইকনে ক্লিক করুন

আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করুন। সব ধরণের সুদ দেয়া নেয়া থেকে বিরত থাকুন। নিশ্চয় আপনি আল্লাহ তায়ালা তাঁর রসুলের (সা:) বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে পারবেন না!