নিউজিল্যান্ডের সংক্ষিপ্ত পরিচয়

দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ওশেনিয়া অঞ্চলে একটি দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড অবস্থিত। এটি মানচিত্রে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের কাছাকাছি অবস্থিত বলে মনে হলেও আসলে এটি অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ২০০০ কিলোমিটার দূরত্বে তাসমান সাগরে অবস্থিত। পলিনেশীয় বিভিন্ন জাতি প্রায় ৭০০ বছর আগে নিউজিল্যান্ড আবিষ্কার করে ও এখানে বসতি স্থাপন করে। প্রথম ইউরোপীয় অভিযাত্রী, ওলন্দাজ আবেল তাসমান ১৬৪২ সালে নিউজিল্যান্ডে নোঙর ফেলেন। অভিযাত্রী, নাবিক, মিশনারি, ও বণিকেরা ১৮শ শতকের শেষ দিকে নিয়মিত এখানে আসতে থাকে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ও নিউজিল্যান্ডের মাওরি গোত্রগুলি ১৮৪০ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করে যার ফলে নিউজিল্যান্ড ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। নিউজিল্যান্ডকে ১৯৩০-এর দশকে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা হতে থাকে। সরকারের হস্তক্ষেপ অর্থনীতিতে বাড়ানো হয়। এই সময়ে এক ধরনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব বা রনেসঁস মাওরিদের মধ্যে ঘটে। বিরাট সংখ্যায় শহরে মাওরিরা বসতি স্থাপন করা শুরু করে এবং অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন শুরু করে। ১৯৮০-এর দশকে সরকারি হস্তক্ষেপ অর্থনীতিতে হ্রাস করা হয় এবং অনেক উদারপন্থী নীতি বাস্তবায়ন করা হয়। অতীতে নিউজিল্যান্ড বৈদেশিক সম্পর্কের ব্যাপারে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের অনুসারী ছিল, তবে বর্তমানে এ ব্যাপারে দেশটি অনেক স্বাধীন।


রাজধানী: ওয়েলিংটন
সরকারি ভাষা: ইংরেজি (৯৮%)3, মাওরি (৪.২%)3, NZ Sign Language (0.6%)3
আয়তন: ২,৬৮,০২১ বর্গকিলোমিটার বা ১,০৩,৪৮৩ বর্গমাইল
জনসংখ্যা (2020 আদমশুমারি): 5,093,230
মুদ্রা: New Zealand dollar (NZD)
তারিখ বিন্যাস: dd/mm/yyyy
কলিং কোড: +64ইন্টারনেট টিএলডি: .nz8

তথ্য সূত্র: নিউজিল্যান্ড, উইকিপিডিয়া