ভুটানের সংক্ষিপ্ত পরিচয়

দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ ভূটান। উগিয়েন ওয়াংচুক ১৯০৭ সালে ভূটানের রাজা হন। "দ্রুক গিয়ালপো বা ড্রাগন রাজা" তার উপাধি ছিল। ১৯২৬ সালে উগিয়েন ওয়াংচুক মারা যায়। তারপর তার পুত্র জিগমে ওয়াংচুক শাসক হন।


একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে ভূটানকে গণ্য করা হয়েছিল ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করার পর। জিগমে ওয়াংচুকের ছেলে জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ১৯৫২ সালে শাসক আসেন। তার আমলে ভূটান পরিকল্পিত উন্নয়নের পথে এগিয়ে ১৯৭১ সালে জাতিসংঘের সদস্য হয়। জিগমে সিঙিয়ে ওয়াংচুক ১৯৭২ সালে ১৬ বছর বয়সে শাসক হয়। তার আমলে ভূটান গণতন্ত্রায়নের পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে শুরু করে। জিগমে সিঙিয়ে ওয়াংচুক ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজার পদ দেয়। তারপর ভূটানের রাজা হয় তার ছেলে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। কারপর থেকেই একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ও সংসদীয় গণতন্ত্র হিসেবে ভূটান পরিণত হয়।

এক নজরে ভূটানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান

আনুষ্ঠানিক নাম: কিংডম অব ভুটান
রাজধানী: থিম্পু
সরকারি ভাষা: জংখা
আয়তন: ৩৮,৩৯৪ বর্গকিলোমিটার, ১৪,৮২৪ বর্গমাইল
জনসংখ্যা: ২০১৬ আনুমানিক ৭৯৭,৭৬৫ জন
মুদ্রা: ভূটানি ঙুলট্রুম, ভারতীয় রূপি

ভৌগলিক অবস্থান

পূর্বে: অরুণাচল প্রদেশ
পশ্চিমে:
ভারতের সিকিম ও তিব্বতের চুম্বি উপত্যকা
উত্তরে: চীনের তিব্বত অঞ্চল
দক্ষিণে: আসাম ও উত্তরবঙ্গ

আন্তর্জাতিক

সদস্য: সার্ক, জাতিসংঘ
কলিং কোড: +৯৭৫
ইন্টারনেট টিএলডি: .bt

তথ্য সুত্র: ভূটান, উইকিপিডিয়া