ওআইসি ( পূর্ণ রূপ হচ্ছে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা )হচ্ছে আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা। ইসরাইল জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদুল আকসায় ১৯৬৭ সালের ছয়দিনের যুদ্ধের পর ১৯৬৯ সালের ২১ আগস্ট অগ্নিসংযোগ করে। মুসলমানদের সর্ব প্রথম কিবলাহ ছিল মসজিদুল আকসা।
ওই সময় আমিন আল হুসাইনি জেরুজালেমের প্রধান মুফতি ছিলেন। তিনি ঘটনাটি বিশ্বমুসলিম উম্মাহর গোচরীভূত করেছিলেন। ফলে এটি বিদ্যুৎগতিতে গোটা মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তখন ফয়সাল ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন সৌদী আরবের বাদশাহ। বিশ্বব্যাপীর প্রতিক্রিয়া দেখানোর ফলে তিনি মুসলিম দেশগুলোকে একটি জরুরী সম্মেলনের জন্য প্রস্তাব করেছিলেন। তখন ১৪ টি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ ২৫ আগস্টে মিশরের রাজধানী কায়রোতে জরুরী বৈঠকে বসেন। ১৯৭০ সালের মার্চে সৌদি আরবের জেদ্দায় মুসলিম বিশ্বের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ওআইসির রূপরেখা চূড়ান্ত করতে মিলিত হন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি ইসলামী সম্মেলন সংস্থা নামে আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বের বৃহৎ আন্ত:দেশীয় সংগঠন হিসেবে জাতিসংঘ হচ্ছে প্রথম আর ওআইসি হচ্ছে দ্বিতীয়।
সদস্য: ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্র
ধরন: ধর্মীয়
দাপ্তরিক ভাষাসমূহ: আরবি, ইংরেজি, ফরাসি
জনসংখ্যা: ১.৮১ বিলিয়ন ( ২০১৮ আনুমানিক )
প্রশাসনিক কেন্দ্র: জেদ্দা, সৌদি আরব
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ওআইসির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ৭ টি।
১। সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ইসলামী সংহতি বৃদ্ধি করা।
২। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহে সদস্যরাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সহযোগিতা সংহত করা এবংআন্তর্জাতিক ফোরামসমূহে নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করা।
৩। বর্ণ বৈষম্যের মূলোচ্ছেদ এবং উপনিবেশবাদ বিলোপের চেষ্টা অব্যহত রাখা।
৪। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি প্রয়োজনীয় সমর্থন প্রদান করা।
৫। পবিত্র স্থান সমূহের নিরাপত্তা বিধানের সংগ্রামকে সমন্বিত এবং সুসংহত করা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য সংগ্রামকে সমর্থন করা এবং তাদের অধিকার আদায় এবং স্বদেশ রক্ষা করার কাজে সাহায্য প্রদান।
৬। মুসলমানদের মান মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং জাতীয় অধিকার সংরক্ষণের সকল সংগ্রামে মুসলিম জনগণকে শক্তি যোগানো।
৭। সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে সহযোগীতা এবং সমঝোতা বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা।
তথ্য সূত্র: ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা, উইকিপিডিয়া