মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা

পৃথিবীর মানুষের কাছে গ্রহ-গহান্তরের আর অন্ধকারাচ্ছান্ন রহস্যময় গভীর মহাকাশ সম্বন্ধে জানা-অজানা সব তথ্য পৌছাঁনোর ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি যে সংস্থাটি ভূমিকা রাখছে সেটি হলো 'নাসা'। ১৯৬৯ সালে নাসা'র নভোযান এ্যাপোলো-১১ সফলভাবে চাঁদে অবতরণের পর থেকে আজ একবিংশ শতাব্দীর দুই দশক পর্যন্ত নাসা একের পর এক মহাকাশ মিশন পরিচালনা করে আসছে।

Nasa Logo
NASA Logo

নাসা'র পরিচয়

নাসা শব্দটি আসলে কয়েকটি শব্দের আদক্ষর, যার পূর্ণাঙ্গ অর্থ হচ্ছে ইংরেজীতে National Aeronautics and Space Administration (ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) সংক্ষেপে NASA (নাসা)। এটি  উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা। ১৯৫৭ সালে রাশিয়ার একটি কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সফলতার পর যুক্তরাষ্ট্র অনুরুপ তৎপরতা শুরু করে। এর ফলশ্রুতিতে ১৯৫৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি ফর অ্যারোনটিক্স' সংক্ষেপে 'নাকা' প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নাম 'নাসা' করা হয়, যা ১৯৫৮ সালের জানুয়ারী মাসে গৃহীত  পরিকল্পনা "এ ন্যাশনাল রিসার্চ পোগ্রাম ফর স্পেস টেকনলজি"র সফল বাস্তবায়ন।

নাসা'র উল্লেখযোগ্য মিশন

নাসা এ পর্যন্ত মহাকাশে অনেক সফল মিশন পরিচালনা করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি;
  • এ্যাপোলো-১১ চাঁদে অবতরণ ১৯৬৯।
  • ১৯৭৭ সালে ভয়েজার ১ ও ২ মহাকাশযান প্রেরণ যা সৌরজগতের বাইরে চলে যাওয়ার পরও এখনো নাসা'র সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়নি।
  • শনি গ্রহের তথ্য সংগ্রহের 'মিশন ক্যাসিনি-হাইজেন' ১৯৯৭ থেকে ২০১৭। 
  • বৃহস্পতি গ্রহের তথ্য সংগ্রহের মিশন জুনো ২০১৬ (বর্তমানে এখনো জুনো মিশন চালু অবস্থায় আছে)
  • মঙ্গল গ্রহের সিসমিক (ভুমিকম্প) এক্টিভিটি পর্যবেক্ষেণের জন্যে মিশন ইনসাইট (বর্তমানে চালু অবস্থায় আছে)
  • রোভার প্রিজার্ভেশন মার্স ২০২০ (বর্তমান মিশন)
এছাড়াও নাসা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ও হাবল টেলিস্কোপের মতো যুগান্তকারী একক্টিভ (এখনো সচল) মিশনসহ অনেক মিশন পরিচালনা করে আসছে ও করছে।


তথ্য সুত্র: