ভূ-অভ্যন্তরের উত্তপ্ত ও গলিত পাথর, ছাই এবং গ্যাস যে পাহাড় থেকে বেরিয়ে আসতে পারে তাকে আগ্নেয়গিরি বলে। ভূগর্ভস্থ গরম বাতাস, জলীয় বাষ্প, গলিত শিলা, কাদা, ছাই, গ্যাস প্রবল বেগে কোন ফাটল বা ছিদ্রপথ দিয়ে বেরিয়ে আসে। ভূপৃষ্ঠের শীতল বায়ুর সাথে এই সকল পদার্থ সংস্পর্শে এসে দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায় এবং কঠিন আকার ধারণ করে। যার ফলে এই সকল পদার্থের কিছুটা ফাটলের চারপাশে ধীরে ধীরে জমা হয়ে মোচাকৃতি আকার ধারণ করে। অগ্ন্যুৎপাত যে আগ্নেয়গিরির বহিঃস্থ নির্গমন পথ দিয়ে ঘটে, তাকে জ্বালামুখ বলে। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০টি আগ্নেয়গিরির থেকে অগ্নুৎপাত ঘটে। বর্তমানে প্রায় অর্ধ সহস্র জীবন্ত আগ্নেয়গিরি পৃথিবীতে আছে। যে আগ্নেয়গিরিগুলো থেকে অগ্ন্যুৎপাতের কোন সম্ভাবনা নেই সেগুলোকে মৃত আগ্নেয়গিরি বলে।
আগ্নেয়গিরির প্ৰকার
আগ্নেয়গিরিকে উদ্গীরণ ক্ৰিয়ার ওপর নিৰ্ভর করে তিন ভাগে ভাগ করা হয়
১) জাগ্ৰত আগ্নেয়গিরি: জাগ্ৰত আগ্নেয়গিরি হচ্ছে সেসব আগ্নেয়গিরি যেগুলো থেকে যেকোন সময় অগ্নুৎপাত ঘটতে পারে।
২) সুপ্ত আগ্নেয়গিরি: যে সব আগ্নেয়গিরি থেকে কখনো অগ্নুৎপাত ঘটেছিলো, কিন্তু এখন আর সক্রিয় নেই, কিন্তু ভবিষ্যতে আবারো অগ্নুৎপাত হতে পারে এসব আগ্নেয়গিরিকে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলা হয়।
৩) লুপ্ত বা মৃত আগ্নেয়গিরি: যে সব আগ্নেয়গিরি থেকে কখনো অগ্নুৎপাত ঘটেছিলো, কিন্তু ভবিষ্যতে আর অগ্নুৎপাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই এসব আগ্নেয়গিরিকে লুপ্ত বা মৃত আগ্নেয়গিরি বলা হয়।
কয়েকটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরির নাম
১) ভিসুভিয়াস , ইটালি
২) সাকুরাজিমা, জাপান
৩) ওহাকারি হোয়াইট আইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড।