ইরাকের রাজধানী বাগদাদের পরিচয়

ইরাকের রাজধানীর নাম বাগদাদ। এটি দজলা নদীর তীরে অবস্থিত। ৮ম শতাব্দীতে এই শহরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি রাজধানীতে পরিনত হয়েছিল আব্বাসীয় খিলাফতের আমলে।

আল-কাদিমিয়া মসজিদ

তারপর অল্প সময়ের মধ্যেই মুসলিম বিশ্বের এক গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র হিসাবে বিকশিত হয়েছিল। বহুবিধ জাতিগোষ্ঠি ও বহুবধর্মীয় ব্যক্তিবর্গের আতিথ্যে আর অন্যতম কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য শহরটি "জ্ঞানের শহর" হিসাবে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছিল। দশ লাক্ষেরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে বাগদাদ মধ্যযুগের বৃহত্তম শহর ছিল। ১২৫৮ সাল চলাকালীন মঙ্গোল সাম্রাজ্যের হাতে শহরটির বেশিরভাগ ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে বহু শতাব্দী ধরে একাধিক সাম্রাজ্যের উত্থান এবং ঘন ঘন প্লেগ রোগের কারণে ক্রমশ এর পতন ঘটতে থাকে। ১৯৩৮ সালের দিকে ইরাক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত হওয়ার পর বাগদাদ শহর ধীরে ধীরে আরব সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র হিসাবে তার পূর্বের কিছু খ্যাতি ফিরে পায়। ৬ বা ৭ মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে বাগদাদ ইরাকের বৃহত্তম শহর।

দেশ: ইরাক
আয়তন: ২০৪.২ বর্গকিমি বা ৭৮.৮ বর্গমাইল
উচ্চতা: ৩৪ মিটার বা ১১২ ফুট
জনসংখ্যা(২০১৮): ৬৬,৪৩,০০০

তথ্য সূত্র: বাগদাদ, উইকিপিডিয়া