অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ আডলফ হিটলার যিনি ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সে দেশের ফিউরার ছিলেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হিটলার সৈনিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পরে ভাইমার প্রজাতন্ত্রে নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব লাভ করেন। অভ্যুত্থানে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে জেল খাটতে হয়েছিল। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি মোহনীয় বক্তৃতার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ, ইহুদি বিদ্বেষ ও সমাজতন্ত্র বিরোধিতা ছড়াতে থাকেন। এভাবেই তিনি এক সময় জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। নাৎসিরা নিজেদের বিরোধী পক্ষের অনেককেই হত্যা করেছিল, রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছিল এবং সামরিক বাহিনীকে নতুন সব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করেছিল। এমন একটি বৈদেশিক নীতি হিটলার গ্রহণ করেছিলেন যাতে সকল "লেবেনস্রাউম" (জীবন্ত অঞ্চল) দখল করে নেয়ার কথা বলা হয়েছিলো। জার্মানরা ১৯৩৯ সালে পোল্যান্ড অধিকার করে যার ফলশ্রুতিতে ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। মহাদেশীয় ইউরোপ এবং আফ্রিকা ও এশিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল জার্মান নেতৃত্বাধীন শক্তি দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে মিত্র শক্তি বিজয় লাভ করে। হিটলারের রাজ্য জয় ও বর্ণবাদী আগ্রাসনের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়। পরিকল্পনামাফিক ৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে ইহুদি নিধনের এই ঘটনা হলোকস্ট নামে পরিচিত।
জন্ম: ২০শে এপ্রিল, ১৮৮৯, Braunau am Inn, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি
মৃত্যু: ৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ (বয়স ৫৬), বার্লিন, জার্মানি
মৃত্যুর কারণ: আত্মহত্যা
জাতীয়তা: ১৯২৫ সাল পর্যন্ত অস্ট্রীয়; ১৯৩২-এর পর জার্মান