যে পদ্ধতি দ্বারা ভূপৃষ্ঠে বিকীর্ণ হওয়া তাপ বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউজ গ্যাসসমূহ দ্বারা শোষিত হয়ে ভূপৃষ্ঠে আবার ফিরে আসে তাকে গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়া বলে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সৌর বিকিরণ বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে আর এই শক্তি পরবর্তীকালে ভূপৃষ্ঠে দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যে অবলোহিত রশ্মি আকারে নির্গত করে। বায়ুমণ্ডলের গ্রিন হাউজ গ্যাসসমূহ দ্বারা শোষিত এই অবলোহিত রশ্মি অনেক বেশি শক্তি আকারে ভূপৃষ্ঠে ও বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে পুনঃবিকিরিত হয়। উদ্ভিদ উৎপাদন করার জন্য কাচ নির্মিত গ্রিন হাউজ তৈরি করা হয় আর এর অনুসারে এর গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়া নামকরণ করা হয়।
পৃথিবীতে প্রধান যে চারটি গ্যাস গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী তাদের শতকরা পরিমাণ হচ্ছেঃ
- জলীয় বাষ্প ৩৬-৭০%
- কার্বন ডাই অক্সাইড ৯-২৬%
- মিথেন ৪-৯%
- ওজোন ৩-৭%
যে দেশগুলো থেকে বেশি গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গত হয়: