রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার৷
রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ১৯৫০ সালের ১৫ নভেম্বর গঠন করা হয়। ১৯৫২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী শহরের ভুবন মোহন পার্কে সর্বপ্রথম রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরবর্তীতে ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ভূবন মোহন পার্কেই আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ এমএলএ এর সভাপতিত্বে আরেকটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয় ৷ সেই জনসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন ইদ্রিস আহমেদ এমএলএ, প্রভাষ চন্দ্র লাহিড়ী, খোরশেদ আলম, আনসার আলী, আব্দুল জব্বার প্রমূখ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার দাবি জানাতে গিয়ে ১৫ ছাত্রনেতা কারারুদ্ধ হন। পরে ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে ঢাকায় একটি ডেলিগেশন পাঠানো হয় এবং সেই ডেলিগেশনের সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মরহুম আবুল কালাম চৌধুরী ও আব্দুর রহমান। এভাবে একের পর এক আন্দালনের চাপে স্থানীয় আইন পরিষদ রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়৷ এই আন্দোলনে একাত্ব হন পূর্ববঙ্গীয় আইনসভার সদস্য প্রখ্যাত আইনজীবী মাদার বখশ৷
১৯৫৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, ভুবন মোহন পার্কের আরও একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাদার বখশ সরকারকে হুশিয়ার করে বলা হয়, "যদি রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন না হয় তবে উত্তরবঙ্গকে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ দাবি করতে আমরা বাধ্য হব।" মাদার বখশের এই বক্তব্যে সাড়া পড়ে দেশের সুধী মহলে এবং সাথে সাথে টনক নড়ে সরকারেরও৷ অবশেষে ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক আইনসভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আইন পাশ হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট ১১ টি অনুষদের অধীনে ৫৯টি বিভাগ রয়েছে এবং অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪১টি; যার মধ্যে সরকারি ১১টি ও বেসকারি ২৪টি। অনুষদসমূহ হচ্ছে:
- কলা অনুষদ
- বিজ্ঞান অনুষদ
- প্রকৌশল অনুষদ
- কৃষি অনুষদ
- বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ
- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
- আইন অনুষদ
- জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ
- চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদ
- চারুকলা অনুষদ
- ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদ