ভূমিকম্প কেন হয়?

ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের শক্তির মুক্তি হলে মাটি কিছুক্ষনের জন্য কেঁপে উঠে, তাকে বলা হয় ভূমিকম্প। মাটির নীচের কম্পন-তরঙ্গ থেকে একটি শক্তির সৃষ্টি হয়। এই শক্তি ভূমিকম্পের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ভূ-গর্ভের কোন নির্দিষ্ট জায়গায় তরঙ্গটি উৎপন্ন হয়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভূমিকম্প সাধারণত কয়েক সেকেন্ড বা এক/দুই মিনিট স্থায়ী হয়। কম্পন বেশি দুর্বল হলে তা টের পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে বিধ্বংসী ও শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। তখন ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে পড়ে। আর অনেক মানুষ মারা যায়।



ভূমিকম্পের কারণ

অসংখ্য প্লেট নিয়ে গঠিত আমাদের ভূ -পৃষ্ঠ। একে অপরের থেকে প্লেটগুলো ফল্ট বা ফাটল দ্বারা আলাদা থাকে। ভূ-অভ্যন্তরের সমস্ত গলিত পদার্থ এই প্লেটগুলোর নিচেই অবস্থান করে। এই গলিত পদার্থগুলোর যদি কোন কারণে স্থানচ্যুতি ঘটে, তাহলে প্লেটগুলোরও স্থানচ্যুতি ঘটে। আর এই স্থানচ্যুতির কারণে একটি প্লেটের তলায় অন্য কোন প্লেটের অংশ ঢুকে যায়, যার ফলে কম্পনের সৃষ্টি হয়। আবার এমনও হতে পারে যে, আগ্নেয়গিরির গলিত লাভা বিস্ফোরণের জন্য উৎক্ষিপ্ত হয়ে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছে। কোন উচু স্থান বা পাহাড় থেকে বৃহৎ পরিসরে শিলাচ্যুতিজনিত কারণেও ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ভূমিকম্প হওয়ার আরো বিভিন্ন কারণ রয়েছে।


তথ্য সূত্র: ভূমিকম্প, উইকিপিডিয়া