ভূত কল ধরে (নাটিকা)

বড় ভাই: ফিরোজ

ছোট ভাই: মেরাজ


প্রথম দৃশ্য

(ফিরোজ, মেরাজ ও তাদের ডিয়ার বিড়াল মিলে রাতে টিভি দেখছে)


মেরাজ: ভাই আমি শুনেছি রাত দুইটার দিকে ০১৭*******৫ নম্বরে ফোন করলে ভূত কল ধরে।

ফিরোজ: দুর মিয়া, এগুলো মিথ্যা।

মেরাজ: কি যে বলো আমি তো রোজ রাতে ভূত সাথে কথা বলি।

ফিরোজ: ধুর উল্টাপাল্টা কথা।

মেরাজ: ঠিক আছে দুই টা পর্যন্ত অপেক্ষা করো।

ফিরোজ: ওকে


দ্বিতীয় দৃশ্য

(রাত দুইটা বাজে। মেরাজ ০১৭*******৫ নম্বরে কল করলো)


মেরাজ: কল হচ্ছে

ফিরোজ: হুম...

মেরাজ: কল ধরেছে


(তাদের ডিয়ার বিড়ালটা ঘর থেকে বের হয়ে গেলো)


মেরাজ: হ্যালো

ভূত: ভূভূভূভূভূভূভূভূভূভূভূভূভূভূত

মেরাজ: মানুনুনুনুনুনুনুনুনুনুষ

ভূত: মানুষ! ভয় লাগে না?

মেরাজ: আমাকে তো লাগে না। আপনাকে লাগছে নাকি?

ভূত: হ্যাঁ, মানুষ কে আমি ভয় পাই (হাসির ভাব নিয়ে)। তোকে কি লজ্জা লাগে না রাত দুইটার দিকে ফোন করে ভুতেরাকে ডিস্টার্ব করতে?


তৃতীয় দৃশ্য

মেরাজ: রাত দুইটার সময় করবো নাতো কখন করবো?

ভূত: আবে, আমি তোর পার্সোনাল জিএফ নাকি যে বারবার কল করবি।

মেরাজ: কিন্তু আমি তো আমার জিএফ এর সাথে ওয়াটস এ্যাপে কথা বলি।

ভূত: তো যা ওয়াটস এ্যাপে তোর জিএফ এর সাথে কথা বল। আর হ্যাঁ আর কল করবি না নইলে ভারি পরবে।

মেরাজ: বেশি ভারি হলে কুলি কে ডাকবো।

ভূত: আরে ভূত আমি। আকাশে উড়তে পারি। একটু তো ভয় কর।

মেরাজ: এখানে আপনাকে ভয় করার কি আছে? আকাশে তো কবুতরও উড়ে।

ভূত: তো কবুতরের সাথে কথা বল না।

মেরাজ: কবুতর তো কথা বলতে পারে না।

ভূত: তাইলে আমিও বলবো না।

মেরাজ: কেন? আপনি তো কথা বলতে পারেন।

ভূত: আরে চুপ কর তো।

মেরাজ: কেন? কথা বলার জন্যই তো কল করেছি ভূত ভাই।

ভূত: মাগো বাচাও এই ছেলেটার কাছ থেকে। আমি মরে যাবো।

মেরাজ: আগে থেকেই তো মরে আছেন। আর কি মরবেন।

ভূত: নারে আমি মরিনি। এখনও বেচে আছি।

মেরাজ: কি!! আপনি বেচে আছেন!!

ভূত: হুম। আমার নাম ফাহিম। আমার এক বন্ধু কে দিয়ে তোকে শুনিয়েছি যে, এই নম্বরে কল করলে ভূত কল ধরে।

মেরাজ: মিথ্যুক। মানুষ কে ধোকা দেন। আমি আপনার সাথে আর কথা বলবো না। খামাখাই বকবক করে ফোনের টাকা নষ্ট করলাম। হু।

ফিরোজ: কি বলেছিলাম না। ভূত বলতে কিছু নেই।

মেরাজ: হয়েছে তোমাকে আর বকবক করতে হবে না। এমনিতেই মাথাই আগুন জলছে। আর তুমি আরও ওটাকে হাওয়া দিচ্ছো।

ফিরোজ: ঠিক আছে, ঠিক আছে।