পচনশীল জৈববস্তু হতে বায়োগ্যাস তৈরি হয়। বাতাসের অনুপস্থিতিতে কোন পশু-পাখির গোবর ও অন্যান্য পচনশীল পদার্থ পঁচানোর ফলে তৈরি হয় বায়োগ্যাস। এ ধরনের গ্যাসে বেশির ভাগই থাকে মিথেন গ্যাস। আর রয়েছে CO2 (কার্বন ডাই অক্সাইড) এবং অল্প পরিমানে হাইড্রোজেন সালফাইট।
বায়োগ্যাস ব্যবহারের সুবিধা
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বায়োগ্যাসের অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে। যেমন:
- অল্প জায়গায় এই প্লান্ট তৈরি করা যায়৷
- এই প্লান্ট অনেকদিন টিকে থাকে এবং কাজ করে৷
- আবর্জনা ও দুর্গন্ধমুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে ওঠে৷
- উপাদানগুলো পঁচে দুর্গন্ধ ছড়ায় না৷ মশা-মাছি জণ্মায় না৷
- রাঁধুনীর শারীরিক ধকল কমে৷
- জমির জন্য উন্নতমানের সার পাওয়া যায়৷
- গ্রামের জীবনযাত্রায় আধুনিকতা আসে৷
- বায়োগ্যাসের বর্জ্য জৈবসার হিসেবে ব্যবহার করা যায়৷
- জ্বালানির জন্য গাছপালার উপর চাপ কম পড়ে ।
- বায়োগ্যাসের কারণে বাড়িতে গবাদিপশুর খামার গড়তে উৎসাহিত হয় ।
- বায়োগ্যাসের বর্জ্য মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যার ।
- বায়োগ্যাস ব্যবহার করলে গ্রীনহাউজ গ্যাসের স্তর ক্ষয় কম হয় ।
- বায়ো গ্যাস এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় ।
- এই শক্তি ব্যবহারের ফলে মিথেন গ্যাস তৈরি হয় যা চাষের কাজে ব্যবহৃত হয়।
বায়োগ্যাস ব্যবহারের অসুবিধা
- প্লান্ট তৈরি করতে এককালীন বেশকিছু টাকার দরকার হয়৷
- কাঁচামালের জন্য নিজেদের গরু-ছাগল,হাঁস-মুরগী থাকতে হয়৷
- বায়োগ্যাস প্লান্ট সাধারণভাবে তৈরি করা যায় না৷
- শীতকালে তাপমাত্রা কমে গেলে গ্যাসের উৎপাদন কমে যায়। (সমাধান » প্লান্টে গোবর দেওয়ার আগে গরম পানি ঢুকাতে হবে)। প্ল্যানটা এমন জায়গায় বসানো ভালো, যেখানে সব সময় রোদ থাকে।
তথ্য সূত্র: বায়োগ্যাস, উইকিপিডিয়া