ব্রিক্স হচ্ছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বারা একটি জাতীয় অর্থনীতির সঙ্ঘ। যা নামকরণকৃত হয়েছে এই পাঁচটি দেশের ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষরগুলো দিয়ে। ২০১০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার অর্ন্তভূক্ত হবার পূর্বে এই সঙ্ঘটি "ব্রিক" নামে পরিচিত ছিল। রাশিয়া বর্তমানে ব্রিক্সের প্রধান হিসেবে কাজ করছে। প্রতিবছর আনুষ্ঠানিক সম্মেলনে ব্রিক্স রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হয়। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে ব্রিকসের অষ্টম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই ইউরোপে শুরু হয়ে ১১ নভেম্বর ১৯১৮ পর্যন্ত হয়েছিল।
১৯১৪ সালের ১৮ জুন, অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্ডিনান্ড বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো শহরে এক সার্বের গুলিতে নিহত হন। অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি যুবরাজকে হত্যা করার জন্য সার্বিয়াকে দায়ী করে এবং ওই বছরের ২৮ জুলাই যুদ্ধ ঘোষণা করে। যে রাষ্ট্রগুলো দু'দেশের বন্ধু ছিল ওরাও এই যুদ্ধে ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল ওই সময়ের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী সকল দেশ। এইভাবে শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে একপক্ষে ছিল অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি, উসমানীয় সাম্রাজ্য, বুলগেরিয়া ও জার্মানি। এদের বলা হতো কেন্দ্রীয় শক্তি। আর অন্যদিকে ছিল সার্বিয়া, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি, রুমানিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এদের বলা হতো মিত্রশক্তি।
তথ্য সূত্র: প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, উইতিপিডিয়া
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কাকে বলে
চীনের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী হুয়াংহো নদী বা পীত নদী। হুয়াংহো নদীর উৎপত্তি হচ্ছে
ছিংহাই প্রদেশে অবস্থিত বায়ান হার পবর্তের উত্তরাংশে। হুয়াংহো নদী ছিংহাই,
সিছুয়ান, কানসু , নিংশিয়া, অন্তর্দেশীয় মঙ্গোলিয়া, শাআনশি, শানশি, হনান আর
শানতুং প্রদেশের ভেতরে প্রবাহিত হয়েছে।
কেন এই নদীকে চীনের দুঃখ বলা হয়?
প্রায়ই প্রাচীন চীনে হুয়াংহো নদী থেকে আসা বন্যায সবকিছু ভাসিয়ে দিত। তাই এই
নদীকে "চীনের দুঃখ" বলা হয়। অতি প্রচন্ডভাবে এই নদীর গতিপথ বদল হয়েছে ইতিহাসে
ছাব্বিশবার। যার জন্য প্রত্যেকবারই চীনের জনগণের জীবনের নেমে এসেছিল
দুঃখদুদর্শা।
স্থানীয় নাম: হলুদ নদী (黄河)
দেশ:
গণপ্রজাতন্ত্রী চায়না
দৈর্ঘ্য: ৫,৪৬৪ কিমি, ৩,৩৯৫ মা
হুয়াংহো নদীর কিছু চিত্র
হুয়াংহো নদীর স্যাটেলাইট ভিউ
তথ্য সূত্র: হুয়াংহো নদী, উইকিপিডিয়া
হুয়াংহো নদী
পৃথিবীতে অনেক নদ-নদী রয়েছে। তার মধ্যে পৃথিবীর বৃহত্তম পাঁচটি নদী হচ্ছে,
১.নীল নদ
২.আমাজন নদী
৩.ইয়ানগেটজ নদী
৪.মিসিসিপি নদী
৫.ইয়েনিসেই নদী
নীল নদ
আফ্রিকা মহাদেশের একটি নদী নীলনদ। পৃথিবীর সর্বোচ্চ দীর্ঘতম নদ। ইথিওপিয়া, সুদান, মিশর, উগান্ডা, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, কেনিয়া, তানজানিয়া, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, দক্ষিণ সুদান, ইরিত্রিয়া এই ১১টি দেশের উপর দিয়ে এই নদ প্রবাহিত। এই নদের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬,৮৫৩ কিলোমিটার, ৪,২৫৮ মাইল।
![]() | |
নীল নদ |
আমাজন নদী
দক্ষিণ আমেরিকায় আমাজন নদী অবস্থিত। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। ব্রাজিল, কলাম্বিয়া, পেরু এই তিনটি দেশের উপর দিয়ে আমাজন নদী প্রবাহিত। এই নদীর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬,৪০০ কিলোমিটার, ৪,০০০ মাইল।
![]() | |
আমাজন নদী |
ইয়ানগেটজ নদী
ইয়ানগেটজ নদী বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম নদী। চিনে এর আদরের নাম চ্যাঙ জিয়াঙ্গ। এই নদীর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬,৩০০ কিলোমিটার।
![]() | |
ইয়ানগেটজ নদী |
মিসিসিপি নদী
মিসিসিপি নদী বিশ্বের চতুর্থ দীর্ঘতম নদী। এই নদীর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬,২৭০ কিমি, ৩,৯০০ মাইল।
![]() | ||
মিসিসিপি নদী |
ইয়েনিসেই নদী
রাশিয়ার সাইবেরিয়ার মধ্যভাগের একটি নদী ইয়েনিসেই। এটি পৃথিবীর পঞ্চম দীর্ঘতম নদী। এই নদীর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৫,৫৩৯ কিলোমিটার।
![]() | |
ইয়েনিসেই নদী |
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাঁচটি নদী
দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদী বিধৌত অঞ্চলে আমাজন বা আমাজন অরণ্য অবস্থিত। ব্রাজিল,
পেরু, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গায়ানা, সুরিনাম, ফ্রান্স
(ফরাসি গায়ানা) এই ৯ টি দেশ নিয়ে এই অরণ্য বিস্তৃত হয়েছে। এই বনে বৃক্ষ রয়েছে
প্রায় ৩৯০ বিলিয়ন যা প্রায় ১৬০০০ প্রজাতিতে বিভক্ত। আমাজন অরণ্য থেকে পৃথিবীর
২০% অক্সিজেন আসে যার জন্য এই অরণ্যকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়।
ক্ষেত্র: ৫৫,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার, ২১,২৩,৫৬২ বর্গমাইল
আমাজনের কিছু চিত্র
আমাজনের স্যাটেলাইট ভিউ
তথ্য সূত্র: আমাজন অরণ্য, উইকিপিডিয়া
আমাজন কোথায় অবস্থিত?
দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ ভূটান। উগিয়েন ওয়াংচুক ১৯০৭ সালে ভূটানের রাজা হন। "দ্রুক গিয়ালপো বা ড্রাগন রাজা" তার উপাধি ছিল। ১৯২৬ সালে উগিয়েন ওয়াংচুক মারা যায়। তারপর তার পুত্র জিগমে ওয়াংচুক শাসক হন।
একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে ভূটানকে গণ্য করা হয়েছিল ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করার পর। জিগমে ওয়াংচুকের ছেলে জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ১৯৫২ সালে শাসক আসেন। তার আমলে ভূটান পরিকল্পিত উন্নয়নের পথে এগিয়ে ১৯৭১ সালে জাতিসংঘের সদস্য হয়। জিগমে সিঙিয়ে ওয়াংচুক ১৯৭২ সালে ১৬ বছর বয়সে শাসক হয়। তার আমলে ভূটান গণতন্ত্রায়নের পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে শুরু করে। জিগমে সিঙিয়ে ওয়াংচুক ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজার পদ দেয়। তারপর ভূটানের রাজা হয় তার ছেলে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। কারপর থেকেই একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ও সংসদীয় গণতন্ত্র হিসেবে ভূটান পরিণত হয়।
এক নজরে ভূটানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান
আনুষ্ঠানিক নাম: কিংডম অব ভুটান
রাজধানী: থিম্পু
সরকারি ভাষা: জংখা
আয়তন: ৩৮,৩৯৪ বর্গকিলোমিটার, ১৪,৮২৪ বর্গমাইল
জনসংখ্যা: ২০১৬ আনুমানিক ৭৯৭,৭৬৫ জন
মুদ্রা: ভূটানি ঙুলট্রুম, ভারতীয় রূপি
ভৌগলিক অবস্থান
পূর্বে: অরুণাচল প্রদেশ
পশ্চিমে: ভারতের সিকিম ও তিব্বতের চুম্বি উপত্যকা
উত্তরে: চীনের তিব্বত অঞ্চল
দক্ষিণে: আসাম ও উত্তরবঙ্গ
আন্তর্জাতিক
সদস্য: সার্ক, জাতিসংঘ
কলিং কোড: +৯৭৫
ইন্টারনেট টিএলডি: .bt
তথ্য সুত্র: ভূটান, উইকিপিডিয়া
ভুটানের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
দক্ষিণ এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। সিলন নামেও এই দ্বীপ ১৯৭২ সালের আগে পরিচিত ছিল। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে শ্রীলঙ্কা রাষ্ট্রটি পরিচিত।
সর্বপ্রথম পর্তুগীজরা ১৫০৫ সালে এই দ্বিপটিতে পৌঁছায়। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে এই দ্বীপটি ১৭৯৬ সালে চলে যায়। সম্পূর্ণরূপে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত তখন হয়েছিল যখন ১৮১৫ সালে ক্যান্ডি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। ব্রিটিশদের নির্যাতন-অত্যাচারের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা ১৯৩০ সালের দিকে স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু করে। সিলন নামে দেশটি ১৯৪৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীনতা পায়। ১৯৭২ সালে সিলন থেকে শ্রীলঙ্কা নামকরণ করা হয়।
এক নজরে শ্রীলঙ্কা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান
সাংবিধানিক নাম: গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী শ্রীলঙ্কা
রাজধানী: শ্রী জয়াবর্ধেনেপুরা কোট্টে
সরকারি ভাষা: সিংহলি তামিল
আয়তন: ৬৫,৬১০ বর্গকিলোমিটার, ২৫,৩৩০ বর্গমাইল
জনসংখ্যা: ২০১৬ আনুমানিক ২১২০৩০০০ জন
মুদ্রা: শ্রীলঙ্কা রুপি
ধর্মীয় জনগোষ্ঠী
বৌদ্ধ: ৭০.২%
হিন্দু: ১২.৬%
মুসলিম: ৯.৭%
খ্রিস্টান: ৭.৪%
আন্তর্জাতিক
সদস্য: সার্ক, জাতিসংঘ
কলিং কোড: +৯৪
ইন্টারনেট টিএলডি: .lk.ලංකා.இலங்கை
তথ্য সুত্র: শ্রীলঙ্কা, উইকিপিডিয়া